

ফের শম্ভু সীমান্তে মৃত্যু হল এক কৃষকের। আত্মহত্যার কারণেই বলে জানা যাচ্ছে। গত ১ মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ঘটলো এমন ঘটনা।
সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শম্ভু সীমান্তে আত্মহত্যা করেন পাঞ্জাবের তারন তারান জেলার পাহুউইন্ডের বাসিন্দা ওই কৃষক। নাম রেশম সিং। বয়স ৫৫ বছর। ট্রিবিউন সূত্রে খবর, কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। প্রায় এক বছর ধরে চলমান কৃষক আন্দোলনের অংশ হিসেবে শম্ভু সীমান্তে বিক্ষোভরত ছিলেন তিনি। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছিলেন।
কৃষক নেতা তেজবীর সিং জানান, কেন্দ্র কৃষকদের সমস্যার সমাধান না করার জন্য এই বিক্ষোভ জারি রয়েছে। কৃষকরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। এই কৃষকও আত্মহত্যা করেন। দ্রুত তাঁকে পাতিয়ালার রাজিন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে ২৬ নভেম্বর থেকে অনশন করছেন ৭০ বছর বয়সী কৃষক নেতা ডালেওয়াল। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষক নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি ডালেওয়ালের সাথে কিছু অপ্রীতিকর ঘটে, তবে কেন্দ্র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না।
পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ডালেওয়ালের সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, "পাঞ্জাব সরকার তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। আমি প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি অবিলম্বে ডালেওয়ালের সাথে কথা বলার জন্য। এমনকি যদি প্রধানমন্ত্রী তাঁর সাথে টেলিফোনে কথা বলেন, তাহলেও পুরো সমস্যার সমাধান হবে। পাশাপাশি পাঞ্জাব বর্ডারও পুনরায় খুলে যাবে। সাধারণ মানুষেরও অসুবিধা হবে না।"
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল। তিনিও আত্মহত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। আন্দোলনরত কৃষকরা জানান, ২৬ নভেম্বর থেকে অনশনে থাকা ডালেওয়ালের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার কারণে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন নিহত কৃষক। কোনও রাস্তা খুঁজে না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন