
ফের বিপর্যয় মহাকুম্ভ মেলায়। এবার বেলুন বিস্ফোরণ হয়ে ঝলসে গেলেন ছ’জন পুণ্যার্থী। যদিও জানা গেছে, তাঁদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। কীভাবে বেলুন বিস্ফোরণ ঘটল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাতাসের চাপের তারতাম্যের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে বেলুন বিস্ফোরণে ফের একবার কুম্ভের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় মেলার ২১ নম্বর সেক্টরে। সোমবার বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষ্যে প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় ছিল শাহীস্নান। সেই উপলক্ষ্যে ঘাটে গিয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রশাসন সূত্রে খবর, সন্ধ্যায় বিজ্ঞাপনী সংস্থার বেলুনটি ওড়ার পর সেটিতে আগুন লেগে যায়। ওই বেলুনের মধ্যে ছিল ছ’জন। বিস্ফোরণের জেরে ঝলসে গেছে সকলেই।
তড়িঘড়ি ওই ছ’জনকে নিয়ে প্রথমে সাব সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে এসআরএন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁদের। জানা গেছে, সকলের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। আহতদের নাম নিখিল, প্রদীপ, ময়ঙ্ক, ললিত, আমন। বাকি একজনের পরিচয় জানা যায় নি। তবে তাঁর বয়স ২০ বছরের আশেপাশে বলে জানা গেছে।
কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিশেষ পুলিশ সুপার (কুম্ভমেলা) রাজেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাতসের নিম্নচাপ থাকায় বেলুনটি হঠাৎ নীচে নেমে আসে। আর তার ফলে আগুন ধরে যায়। যদিও এই নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে ‘শাহী স্নান’ করতে বহু মানুষ প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গম ঘাটে ভিড় জমিয়েছিলেন। সেখানেই অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এই ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ৬০। নিখোঁজ বহু। যদিও বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা অনেক।
তার আগে ১৯ জানুয়ারি কুম্ভে আগুন লেগে পুড়ে যায় ১৮০ টি তাঁবু। পুলিশ সূত্রে খবর, গীতা প্রেসের রান্নাঘরে চা তৈরির সময় গ্যাস লিক করে আগুন লাগে। যার যেরে সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। বারবার বিপর্যয়ের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন