

আগামী বছরের শুরুতেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলিতদের মন জয় করতে ইতিমধ্যেই পথে নেমে গেছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি। দিল্লির দলিত ছাত্রদের জন্য আম্বেদকর স্কলারশিপের ঘোষণা করলেন দলের প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে অমিত শাহের ‘আম্বেদকর ইস দ্য ফ্যাশন’ মন্তব্য নিয়ে উত্তাল সংসদ। বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। অমিত শাহের ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি তুলেছে তাঁরা।
শনিবার এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় দলিত ছাত্রদের জন্য নয়া এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন কেজরিওয়াল। আপ প্রধান জানান, অমিত শাহর সংবিধানের জনক আম্বেদকরকে নিয়ে করা অসম্মানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদ হিসেবে এই প্রকল্প চালু করছেন তিনি। কেজরির কথায়, ‘আপ সরকার নিশ্চিত করবে, দিল্লির কোনও দলিত পড়ুয়াকে টাকার অভাবে যেন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা ছেড়ে না দিতে হয়’।
আম্বেদকরের কথা স্মরণ করে সমাবেশে কেজরি বলেন, ‘অর্থের অভাবে লন্ডন অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (LSE) –এর পড়াশোনা মাঝপথেই বন্ধ করে দেশে ফিরতে হয়েছিল আম্বেদকরকে। দেশে ফিরে পর্যাপ্ত টাকার বন্দোবস্ত করে ফের এলএসই গিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি’।
কেজরির দাবি, আম্বেদকরকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের ফলে দেশের দলিতরা আহত হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘স্বাধীন ভারতে কেউ কল্পনা করতেও পারেননি যে সংসদে আম্বেদকরকে কেউ ব্যঙ্গ করবে। অমিত শাহের অসম্মানজনক মন্তব্যের জবাবে আমি আম্বেদকর স্কলারশিপ প্রকল্প ঘোষণা করছি’।
আপ প্রধান জানান, এই প্রকল্পের আওতায় দলিত সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে আপ জিতে ক্ষমতায় ফিরলেই এই প্রকল্প চালু হবে। এই প্রকল্পের পোশাকি নাম ‘ডক্টর অম্বেডকর সম্মান বৃত্তি প্রকল্প’।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বিশেষ বিতর্কের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘এখন এক ফ্যাশন হয়েছে— অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর। এত বার যদি ভগবানের নাম নিতেন তবে সাত জন্ম স্বর্গবাস হত’।
অমিত শাহের এই মন্তব্যের পর থেকে উত্তাল হয় সংসদের দুই কক্ষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এক জোটে প্রতিবাদে নামেন বিরোধীরা। যদিও অমিত শাহ এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানান, পুরো বিষয়টিই ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাঁর মন্তব্যকে বিকৃতভাবে পেশ করেছে কংগ্রেস।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন