এনসিপি ভাঙনের পর মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার পদ দাবি কংগ্রেসের

অজিত পাওয়ার এনসিপি ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ায় শরদের দলের শক্তি বেশ কিছুটা ক্ষুন্ন হয়েছে।
এনসিপি ভাঙনের পর মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার পদ দাবি কংগ্রেসের
প্রতীকী ছবি

মহারাষ্ট্রে এনসিপি ভাঙনের পর সে রাজ্যে দলের ভবিষ্যৎ কী হবে, এই নিয়েই এবার সক্রিয় হয়ে উঠল কংগ্রেস। মঙ্গলবার এই নিয়ে দিল্লিতে জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতৃত্বরা। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে ছিলেন সে রাজ্যের ইনচার্জ এইচ.কে পাটিল, পিসিসি প্রধান নানা পাটোলে, দলের বর্ষীয়ান নেতা সুশীলকুমার শিন্ডে, অশোক চাভান ও পৃথ্বীরাজ চাভান।

সম্প্রতি ১৯৯৯ সালে শরদ পাওয়ারের হাতে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টিতে প্রথমবার বড়রকমের ভাঙন ধরেছে। ভাইপো অজিত পাওয়ার বিদ্রোহ ঘোষণা করে অধিকাংশ এনসিপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপি ও একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকারে। তাঁর গোষ্ঠীকেই আসল এনসিপি বলে জানিয়ে অজিত দলের প্রতীকও দাবি করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ভাঙনের পরে এনসিপি কার্যত ছত্রখান হয়ে গিয়েছে। এরপর দলকে ফের দাঁড় করাতে দেশের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা শরদ পাওয়ারকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে।

অজিত পাওয়ার এনসিপি ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ায় শরদের দলের শক্তি বেশ কিছুটা ক্ষুন্ন হয়েছে। যার ফলে স্পষ্টতই মহারাষ্ট্রের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার পদটি দাবি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এই আমূল পরিবর্তন ও আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এনসিপি-এর ভাঙন সে রাজ্যের কংগ্রেসকে কতটা ও কীভাবে প্রভাবিত করবে, সেই নিয়েই মঙ্গলবার দিল্লিতে জাতীয় কংগ্রেসের সদর দফতরে রাজ্য ও জাতীয় নেতৃত্বরা বৈঠক করলেন বলে জানা গিয়েছে।  

এনসিপি ভাঙনের পর মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার পদ দাবি কংগ্রেসের
ইডির ডিরেক্টর পদে পরপর তিনবার সঞ্জয়, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in