Maharashtra: নান্দেড়ের পর মহারাষ্ট্রের একাধিক সরকারি হাসপাতালে চলছে মৃত্যুমিছিল

People's Reporter: ছত্রপতি শম্ভাজিনগরের এক হাসপাতাল থেকেও ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
Published on

মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের সরকারি হাসপাতালের মৃত্যুমিছিলের ঘটনার পর এবার সে রাজ্যের আরও একাধিক সরকারি হাসপাতাল থেকেও মৃত্যুর খবর আসছে। নান্দেড়ের ডঃ শঙ্কররাও চাভান গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবরের মধ্যে ৪৮ ঘণ্টায় ৩১ জন রোগীর মৃত্যুর পর এবার নাগপুরের গভর্নরমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকেও মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন রোগীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হল। পাশাপাশি, ছত্রপতি শম্ভাজিনগরের এক হাসপাতাল থেকেও ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

সম্প্রতি নান্দেড়ের সরকারি হাসপাতাল থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ৩১ জনের মৃত্যুর ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই গোটা দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার নাগপুরের GMC হাসপাতালেও শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করল ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ডিন ডঃ রাজ গজভিয়ের মতে, হাসপাতালে মোট ১৯০০টি বেড রয়েছে এবং প্রতিদিনই মোট ভর্তি থাকা রোগীর ১০ থেকে ১২ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়।

তিনি জানিয়েছেন, “যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা গিয়েছেন তাদেরকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শেষ মুহূর্তে ভর্তি করা হয়েছে এবং জরুরীকালীন তৎপরতার সঙ্গে তাঁদের সরাসরি আইসিইউ (Intensive Care Unit : ICU)-তে অ্যাডমিট করাতে হয়েছিল। তাঁদেরকে গুরুতর অবস্থাতেই ভর্তি নেওয়া হয়েছিল।”

অন্যদিকে, নাগপুরের আরও এক সরকারি হাসপাতাল ইন্দিরা গান্ধী গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালেও গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোট ৯ জন মারা গিয়েছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, “২৪ ঘণ্টায় IGGMCH-এ ভর্তি থাকা ৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীকেই খুবই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এমনকি ভর্তি করার সঙ্গে সঙ্গে অনেককে ভেন্টিলেটরেও রাখতে হয়েছিল।” ওই আধিকারিকের মতেই, IGGMC ও হাসপাতালে মোট ৮০০টি ফাঁকা বেডের জায়গা রয়েছে এবং ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৬ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়।

প্রতীকী ছবি
পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা ইডির, তল্লাশি একাধিক পুরপ্রধানের বাড়িতেও
প্রতীকী ছবি
NewsClick: ভারতে সংবাদমাধ্যমের ওপর 'আক্রমণ' - প্রতিবাদে নিউ ইয়র্ক টাইমস দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in