

ভারতে সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে নিউ ইয়র্ক টাইমসের দপ্তরের সামনে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সংগঠিত করলেন নিউ ইয়র্কের বেশ কিছু সাংবাদিক এবং সেখানকার বাসিন্দারা। pressenza.com-এর এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লীতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজক্লিকের সাংবাদিকদের পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয় সংস্থার এডিটর-ইন-চিফ প্রবীর পুরকায়স্থ এবং এইচ আর প্রধান অমিত চক্রবর্তীকে।
উল্লেখ্য, গত মাসে নিউ ইয়র্ক টাইমসে নিউজক্লিককে নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যে প্রতিবেদনে নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর পরেই নিউজক্লিকের দপ্তরে এবং সাংবাদিকদের বাড়িতে পুলিশ হানা দেওয়া হয় গত মঙ্গলবার।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত মাসে, নিউ ইয়র্ক টাইমস নিউজক্লিকের সাংবাদিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে টাইমস মিথ্যাভাবে ইঙ্গিত করেছে যে নিউজক্লিক চিন সরকারের একটি বিশ্বব্যাপী প্রচার অভিযানের অংশ।
উল্লেখযোগ্যভাবে গত ৩ অক্টোবর এই বিষয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিবৃতি দিয়েছেন ইউএসএ-র স্টেট ডিপার্টমেন্ট-এর মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। যে বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সাথে এই আউটলেটের সম্পর্ক সম্পর্কে প্রতিবেদন দেখেছি, "তবে আমরা এখনও সেই দাবিগুলির সত্যতা সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারি না।"
তিনি আরও জানান, আমেরিকার সরকার সবসময়েই বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বলিষ্ঠ, শক্তিশালী ভূমিকাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন