
৪৪ দিন পর আসামের ডিমা হাসাও জেলার কয়লা খনি থেকে উদ্ধার করা হল নিখোঁজ থাকা পাঁচ শ্রমিকের দেহ। খনিতে আটকে পড়া ন’জনের মধ্যে চারজনের দেহ এক-দুদিনের মধ্যেই উদ্ধার হয়েছিল। বাকিদের দেহ পাওয়া গেল এত দিন পরে।
আসাম সরকার জানিয়েছে, এত দিন পরে কয়লা খনিতে আটক সব শ্রমিকদের দেহ মিলেছে। নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে সে রাজ্যের সরকার। আগেই নিহত চার শ্রমিকের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ছ’লক্ষ টাকা। বাকি ৪ লক্ষ টাকাও শীঘ্রই দেওয়া হবে তাঁদের।
এনিয়ে বুধবার নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা লেখেন, ‘আজ উমরাংসো খনি থেকে জল বের করার কাজ সেই স্তর পর্যন্ত করা হয়, যতটা জল বের করা হলে উদ্ধারের কাজ পুনরায় শুরু করা সম্ভব। এর ফলে বাকি পাঁচ শ্রমিকের দেহাবশেষও উদ্ধার করা গেছে। সেগুলি খনির ভিতর থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। দেহাবশেষগুলি শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে”।
উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি ডিমা হাসাওয়ের উমরাংসোয় ৩১০ ফুট গভীর পরিত্যক্ত কয়লা খনিতে কয়লার খোঁজে শ্রমিকরা ভিতরে নেমেছিলেন। কিন্তু আচমকাই ওই খনিতে জল ঢুকতে শুরু করে। ভিতরে আটকে পড়েন ন’জন শ্রমিক। ৮ জানুয়ারি তাঁদের মধ্যে এক জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, গঙ্গাবাহাদুর শ্রেষ্ঠা নামে ওই শ্রমিক নেপাল থেকে এসেছিলেন। এর তিন দিন পর উদ্ধার হয় আরও তিন জনের দেহ।
ওই দুর্ঘটনার পর ‘র্যাট হোল মাইনিং’ পদ্ধতিতে খননকাজ নিয়ে হয় আলোচনা। ডিমা হাসাও-এর ওই কয়লা খনিটি অবৈধ বলে দাবি করা হয়। যদিও সেই সময় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত জানিয়েছিলেন, অবৈধ কয়লা খনি নয়, এটি পরিত্যক্ত খনি। ১২ বছর ধরে খনিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে এবং তিন বছর আগে পর্যন্ত সেটি আসাম খনিজ উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন