Siddique Kappan: দীর্ঘ ২৮ মাস লড়াইয়ের পর জয়, জেল থেকে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পান

কাপ্পান বলেন - 'আমি কঠোর আইনের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখব। আমি জামিন পাওয়া সত্বেও আমাকে তারা জেলবন্দি করে রেখেছিল। ২৮ মাসের দীর্ঘ লড়াই শেষ হল। আমি নিজেও জানিনা আমাকে জেলে রেখে কাদের কী লাভ হয়েছে।'
সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পান
সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পানছবি - চিকিৎসক কাফিল খানের ফেসবুক
Published on

প্রায় আড়াই বছরের মাথায় মুক্তি পেলেন কেরালার সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পান। লখনউ জেল থেকে বেরিয়েই ফের লড়াইয়ের ময়দানে ফেরার বার্তা দিলেন তিনি।

উত্তরপ্রদেশে হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ডের সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার জেল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, লড়াই জারি রাখব। আমি জামিন পাওয়া সত্বেও আমাকে তারা জেলবন্দি করে রেখেছিল। ২৮ মাসের দীর্ঘ লড়াই শেষ হল। আমি নিজেও জানিনা আমাকে জেলে রেখে কাদের কী লাভ হয়েছে! এই দু'বছর খুব কঠিন ছিল আমার কাছে। কিন্তু আমি হার মানিনি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে উচ্চবর্ণের ব্যক্তিদের দ্বারা এক দলিত নাবালিকার ধর্ষণ ও হত্যার খবর করতে যাওয়ার সময় কাপ্পানকে গ্রেপ্তার করেছিল যোগী রাজ্যের পুলিশ।

কাপ্পানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি PFI ( পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া)-র সদস্য। তাঁকে ৪৫,০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল হাথরসে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্যাকলাপ করার উদ্দেশ্যে। জানা যায়, কাপ্পানের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA)-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করে যোগী সরকার।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (CJI) ইউ ইউ ললিত (UU Lalit) তাঁকে জামিন দিয়ে বলেছিলেন, সিদ্দিকী কাপ্পানকে দিল্লিতেই থাকতে হবে। ৬ সপ্তাহ ধরে কাপ্পানকে নিজামুদ্দিন থানায় নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে। কেরালায় ফিরে গেলেও তাঁকে স্থানীয় থানায় জানাতে হবে। তাছাড়া আর্থিক তছরুপ মামলাতেও ডিসেম্বর মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্টে জামিন পেয়েছিলেন। তা সত্বেও তাঁকে জেলে থাকতে হয়েছিল।

সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পান
আদানি-কেলেঙ্কারির তদন্ত করতেই হবে - বিরোধীদের দাবিকে ঘিরে তুমুল হট্টগোল, মুলতুবি সংসদ
সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পান
২০০০০ কোটি টাকার FPO তুলে নিল আদানি গোষ্ঠী, বিনিয়োগকারীদের টাকাও ফেরানো হবে

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in