

বিহারের ভাগলপুর জেলার পিরপাইনতিতে ৩৩ বছরের জন্য মাত্র ১ টাকায় ১০০০ একরের বেশি জমি আদানি গ্রুপকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছে কংগ্রেস।
এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা অভিযোগ করেন, ১০৫০ একর জমি 'বন্ধু' আদানিকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। জমির সঙ্গে সেখানকার ১০ লক্ষেরও বেশি আম, লিচু ও সেগুন গাছও আদানিকে তুলে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এই প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিহারের মানুষকে প্রতি ইউনিট ৬.৭৫ টাকায় বিক্রি করা হবে, যা মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশের তুলনায় অনেক বেশি।
পবন খেরা বলেন, “এটা একেবারে লুটের পর লুট। বিহারের জমি, বিহারের গাছ, বিহারের কয়লা। কিন্তু বিহারের মানুষকেই সবচেয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে। কারণ তিনি (গৌতম আদানি) প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু।”
খেরা আরও অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর বিহার সফরের সময় অনেক গ্রামবাসী ও কৃষককে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। যাতে তাঁরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে না পারেন। মহারাষ্ট্রের ধারাভি প্রকল্প ও ঝাড়খণ্ডের গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের মতো এখানেও আদানিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, “কৃষকের কাছে জমি মা-এর সমান। বিজেপি মা-কে নিয়ে স্লোগান দেয় অথচ এই মাটি এক টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষিত ২,৪০০ মেগাওয়াটের ২১,৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পটি প্রথমে সরকারি উদ্যোগ হিসেবে জানানো হলেও পরে তা বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন