

আগামীকাল অর্থাৎ ৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বিহারে প্রথম দফার নির্বাচন। মোট ১৮তি জেলার ১২১টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। যার মধ্যে রয়েছে তেজস্বী যাদবের আসনও।
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে নজরে রয়েছে ৫ হেভিওয়েট কেন্দ্র - রাঘোপুর, তারাপুর, মহুয়া, আলিনগর এবং লখিসরাই। রাঘোপুর কেন্দ্রে মূল লড়াই তেজস্বী যাদব বনাম বিজেপি-র সতীশ কুমারের। এছাড়া লালু প্রসাদ যাদবের জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপ লড়ছেন মহুয়া কেন্দ্র থেকে ব্ল্যাকবোর্ড প্রতীকে।
রাঘোপুর -
আরজেডি-র শক্ত ঘাঁটি হল রাঘোপুর। এই কেন্দ্র থেকে এর আগে পরপর দু'বার বিধায়ক হয়েছেন তেজস্বী যাদব। ২০২৫ সালেও তাঁর জেতা কার্যত নিশ্চিত বলেই দাবি করছেন আরজেডি সমর্থকরা। এই কেন্দ্রে তাঁর মূল প্রতিপক্ষ বিজেপির সতীশ কুমার যাদব। যিনি গত বিধানসভা নির্বাচনে তেজস্বী যাদবের কাছে ৩৮,১৭৪ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন।
২০২০ সালে এই কেন্দ্র থেকে তেজস্বী ৯৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপি প্রার্থী সতীশ কুমার যাদব পেয়েছিলেন প্রায় ৬০ হাজার ভোট।
মহুয়া -
মহুয়া কেন্দ্রে জনশক্তি জনতা দলের তেজপ্রতাপ যাদব এবং আরজেডির মুকেশ কুমার রৌশনের মধ্যে মূল লড়াই। ২০১৫ সালে আরজেডির টিকিটে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তেজপ্রতাপ। ২০২০ সালে জয়ী হন মুকেশ কুমার। গত বিধানসভায় মুকেশকুমারের প্রাপ্ত ভোট ৬২,৭৪৭। নিকটবর্তী জেডিইউ প্রার্থী আশমা পারভীন পেয়েছিলেন ৪৮,৯৭৭ ভোট।
২০২৫ সালে নিজের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত তেজপ্রতাপ যাদব। কিছুদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, অন্য কোনও প্রার্থীকে নিয়ে ভাবেন না। মহুয়া কেন্দ্রের মানুষ তাঁকে ভালোবাসে এবং তাঁকেই জয়ী করবে।
আলিনগর -
আলিনগরের লড়াই বিজেপির মৈথিলী ঠাকুর এবং আরজেডির বিনোদ মিশ্রর মধ্যে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন বিকাশশীল ইনসান পার্টির মিশির লাল যাদব। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন আরজেডির বিনোদ মিশ্র। মাত্র ৩ হাজারের সামান্য বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল ভিআইপি। এবছর সমীকরণ পাল্টেছে। ভিআইপি আরজেডি-র সাথে জোট করেছে।
লখিসরাই -
এই কেন্দ্রে বিজেপির ৩ বারের বিধায়ক বিজয় কুমার সিনহার প্রধান প্রতিপক্ষ জন সূরজ পার্টির সূরজ কুমার। জন সূরজের পক্ষে বিজয় কুমার সিনহাকে পরাজিত করা কঠিন হলেও হাল ছাড়তে নারাজ জন সূরজের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর।
তারাপুর -
২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে আরজেডিকে ৭,২২৫ ভোটে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন জেডিইউ-র মেওয়ালাল চৌধুরী। ২০১৫ সালে তিনি এই কেন্দ্র থেকেই প্রায় ১২ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। ২০২১ সালে তাঁর মৃত্যুর পর উপনির্বাচন হয়। সেখানে আরজেডি প্রার্থী অরুণ কুমার শাহকে মাত্র ৩,৮৫২ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন জেডিইউ-র রাজীব কুমার সিং।
২০২৫ সালে বিহারের বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারাপুর কেন্দ্র থেকে। তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন আরজেডির অরুণ কুমার শাহ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন