

বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে প্রতিদিন গড়ে ৭ জন দলিত বা আদিবাসী মহিলা ধর্ষণের শিকার হন। মঙ্গলবার সে রাজ্যের বিধানসভায় এমনই উদ্বেগজনক তথ্য পেশ করেছে সরকার। তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ বছরে দলিত বা আদিবাসী (SC/ST) সম্প্রদায়ের মহিলাদের বিরুদ্ধে ৭,৪১৮টি ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বিধায়ক আরিফ মাসুদের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দিয়েছে সরকার। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দলিত বা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাদের বিরুদ্ধে মোট ৭,৪১৮টি ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। যার অর্থ গত তিন বছরে রাজ্যে প্রতিদিন গড়ে সাতজন দলিত বা আদিবাসী মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তথ্যে আরও জানা গেছে, এই একই সময়ে এই সম্প্রদায়ের ৫৫৮ জন মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ৩৩৮ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
পরিসংখ্যানে পারিবারিক সহিংসতা এবং যৌন হয়রানিরও ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তিন বছরে ১,৯০৬ জন দলিত বা আদিবাসী মহিলা পারিবারিক নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছেন। অর্থাৎ প্রতিদিন এই সম্প্রদায়ের প্রায় দুইজন মহিলা তাঁদের নিজের বাড়িতেই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এছাড়াও, ৫,৯৮৩টি যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় পাঁচজন তফসিলি জাতি/উপজাতি মহিলা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে তফসিলি জাতি/উপজাতি মহিলাদের বিরুদ্ধে মোট ৪৪,৯৭৮টি অপরাধ নথিভুক্ত হয়েছে। যার অর্থ মধ্যপ্রদেশে এই প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মহিলাদের বিরুদ্ধে গড়ে প্রতিদিন ৪১টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জনসংখ্যা প্রায় ৩৮ শতাংশ। যার মধ্যে ১৬ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং ২২ শতাংশ তফসিলি উপজাতি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন