

উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে মন্দিরের দেওয়ালে 'আই লাভ মহম্মদ' লিখে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। ৪ জনই হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি। এখনও একজন পলাতক। বিভেদ সৃষ্টির কারণে এই কাজ করেছেন বলে পুলিশের দাবি। পলাতকের উদ্দেশ্যে তল্লাশি জারি রয়েছে।
টাইম্স অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন অনুসারে, ৫ জন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও ৪ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন জীশান্ত কুমার, দিলীপ শর্মা, আকাশ কুমার এবং অভিষেক সারস্বত। সকলের বয়স ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে। আর এক অভিযুক্ত রাহুল পলাতক।
আলিগড় এসএসপি নীরজ জাদৌন বলেন, অভিযুক্তরা সকলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের। তাঁরা অন্য সম্প্রদায়ের মানুষদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য এই কাজ করেছেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে অন্য ধর্মের লোকেদের ফাঁসাতে চেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
এই ঘটনায় এই ৫ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আগে ৭ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। নীরজ জাদৌন জানান, একটি দক্ষিণপন্থী সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে মৌলবি মুস্তাকিম, গুল মহম্মদ, সুলেমান, সোনু, আল্লাবক্ষ, হাসান, হামিদ এবং ইউসুফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু সন্দেহ হয় মন্দিরের দেওয়ালে লেখা মহম্মদ বানান দেখে। মহম্মদ বানান ভুল ছিল। তারপরই ভালো করে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই সরব হন রাজনৈতিক নেতারা। ২৫শে অক্টোবর সমাজবাদী পার্টির নেতা জিয়া উর রহমান বারক অভিযোগ করেন যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির লক্ষ্যে মন্দিরের দেওয়ালে এই লেখা একটি "সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের" অংশ। নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই পুরো বিষয় সামনে চলে আসবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
