SIR: ৩ দিনে ৩ জন, ফের এক বিএলও-র মৃত্যু উত্তরপ্রদেশে! এসআইআর-র চাপ থাকার অভিযোগ পরিবারের
গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন

SIR: ৩ দিনে ৩ জন, ফের এক বিএলও-র মৃত্যু উত্তরপ্রদেশে! এসআইআর-র চাপ থাকার অভিযোগ পরিবারের

People's Reporter: ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাথরস জেলার ব্রাহ্মণপুরী এলাকায়। মৃত বিএলও-র নাম কমলাকান্ত শর্মা। বয়স ৪০।
Published on

ফের এক বিএলও-র মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশে। এই নিয়ে টানা ৩ দিনে ৩ জন বিএলও-র মৃত্যুর খবর সামনে এল। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানান এসআইআর-র কাজ নিয়ে খুবই চাপে ছিলেন মৃত বিএলও।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাথরস জেলার ব্রাহ্মণপুরী এলাকায়। মৃত বিএলও-র নাম কমলাকান্ত শর্মা। বয়স ৪০। তিনি কম্পোজিট স্কুল নাভলি লালপুরে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, চা পান করার সময় হঠাৎ তাঁর মাথা ঘুরতে থাকে। আচমকাই তিনি লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

কমলাকান্ত শর্মার ছেলে বিনায়ক জানান, এসআইআর-র কাজ নিয়ে বেশ চাপে ছিলেন তাঁর বাবা। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অতুল ভাটস ওই বিএলও-র পরিবারের সাথে দেখা করেন। তিনি জানান, "তিনি একজন দক্ষ কর্মচারী ছিলেন এবং তাঁর দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করেছিলেন। এই মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক"।

৩ দিনে এই নিয়ে ৩ জন বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর বিজনৌর জেলায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একজন মহিলা বিএলও মারা যান। তার স্বামীর মতে, শোভারানি ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। তিনি ধামপুর এলাকার মহল্লা বাডওয়ানের ৯৭ নম্বর বুথের বিএলও হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ৩০ নভেম্বর, ৪৬ বছর বয়সী সর্বেশ সিংকে মোরাদাবাদ জেলার তাঁর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনিও বিএলও হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। একটি সুইসাইড নোটে, সর্বেশ দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং বলেছেন যে তাঁকে যে কাজ দেওয়া হয়েছিল তার জন্য পর্যাপ্ত সময় ছিল না।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে মৃত বিএলও-দের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, "রাজ্যে SIR-এ অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন। সুইসাইড করেছেন। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। বিএলওরাও মারা গিয়েছে। মৃত বিএলওদের মধ্যে দুটি পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। একজনের পরিবার বাকি আছে। চাইলে দিয়ে দেওয়া হবে। অনেকে সম্মানের সঙ্গে টাকা নিতে চান না। আর যে সব বিএলও আহত হয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে"।

তিনি আরও জানান, "এসআইআর আতঙ্কে এখনও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমি যতদূর জানি ৩৯ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের অবস্থা সঙ্কটজনক। ৩ জন আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। তাঁরাও হাসপাতালে ভর্তি। এঁদের সবাইকে ২ লাখ ও ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। যাতে পরিবারগুলো ভাবতে পারে যে সরকার তাঁদের পাশে আছে"।

SIR: ৩ দিনে ৩ জন, ফের এক বিএলও-র মৃত্যু উত্তরপ্রদেশে! এসআইআর-র চাপ থাকার অভিযোগ পরিবারের
Parliament Session: এসআইআর নিয়ে আলোচনার দাবিতে অনড় বিরোধীরা - দিনের মত মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন
SIR: ৩ দিনে ৩ জন, ফের এক বিএলও-র মৃত্যু উত্তরপ্রদেশে! এসআইআর-র চাপ থাকার অভিযোগ পরিবারের
পাঁচ বছরে ২ লাখের বেশি বেসরকারি সংস্থা বন্ধ, পুনর্বাসন নিয়ে নেই কোনও প্রস্তাব, সংসদে জানাল কেন্দ্র

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in