

এবার থেকে নাকি আর ফ্রি নয় ইউপিআই। ২০০০ টাকার উপরে লেনদেন করলেই দিতে হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এমনই এক পোস্ট ভাইরাল হয়। যার ফলে আশঙ্কা তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে সেই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বলে শুক্রবার রাতেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, সরকারের কাছে ইউপিআই-এ জিএসটি বসানোর কোনও প্রস্তাব নেই।
শুক্রবার রাতে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস-এর এক্স হ্যান্ডেলে ইউপিআই জিএসটি সংক্রান্ত একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় হওয়া এই দাবিকে মিথ্যে বলে জানানো হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এমন কোনও প্রস্তাব আসেনি। সাধারণ ইউপিআই লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনও জিএসটি নেওয়া হয় না।
অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট (এমডিআর) –এর মতো কিছু নির্দিষ্ট চার্জের উপর জিএসটি নেওয়া হত। তবে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মার্চেন্ট টু মার্চেন্ট এমডিআর তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনও জিএসটি নেওয়া হয় না।
কেন্দ্রের দাবি, দেশে দ্রুত বাড়ছে ইউপিআই লেনদেন। বরং ডিজিটাল লেনদেন আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী কেন্দ্র। ছোট অঙ্কের লেনদেনে মানুষের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধি করতে প্রতি বছরই বিভিন্ন খাতে আর্থিক সহায়তা করে সরকার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই খাতে ১,৩৮৯ কোটি টাকা দিয়ে সহায়তা করা হয়েছিল। এরপর ২০২২-২৩ এবনহ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে যথাক্রমে ২,২১০ কোটি এবং ৩,৬৩১ কোটি টাকা দিয়ে সহায়তা করা হয়েছিল। ফলে ডিজিটাল লেনদেনে জিএসটি বসানোর কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) এর তথ্য অনুসারে, মার্চে দেশে ২৪.৭৭ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ইউপিআই-এর মাধ্যমে। যা ফেব্রুয়ারির থেকে ১২.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২১.৯৬ লক্ষ কোটি টাকা। তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৫ সালের ইউপিআই লেনদেন ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর মার্চ মাসে এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৯.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা।
তথ্য অনুসারে, ২০১৯-২০ সালে যেখানে অনলাইন লেনদেনের অঙ্ক ছিল ২১.৩ লক্ষ কোটি টাকা, তা ২০২৪-২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তা পৌঁছেছে ২৬০.৬৫ লক্ষ কোটি টাকায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন