
পাঁচ বছর ধরে ৬০ জনের দ্বারা যৌন হররানির শিকার হয়েছেন কেরালার এক দলিত কিশোরী। বর্তমানে ওই কিশোরীর বয়স ১৮ বছর। ১৩ বছর বয়স থেকে তাঁকে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে দাবি ওই কিশোরীর। এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই ১৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
পাঁচ বছর ধরে যৌন নির্যাতন চলার পর সম্প্রতি এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মহিলা সদস্য ওই কিশোরীর বাড়িতে যান রুটিন ফিল্ড ভিজিটে। সেই সময় তাঁর সাথে গত পাঁচ বছর ধরে ঘটে চলা ভয়ঙ্কর কাহিনী খুলে বলেন নির্যাতিতা। পরে ওই মহিলা শিশুকল্যাণ কমিটির কাছে অভিযোগ জানায়। কমিটির সদস্যরা মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেন।
নির্যাতিতার অভিযোগ, ১৩ বছর বয়স থেকে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। স্কুলের স্পোর্টসের আগে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় বারবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। এমনকি সেগুলোর ভিডিও রেকর্ড করে তা সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি নির্যাতিতার। নির্যাতিতার অভিযোগ, সে তার কোচ, সহকর্মী ক্রীড়াবিদ, সহপাঠী সহ নানা ব্যক্তির দ্বারা শোষিত হয়েছে।
এই অভিযোগ আসার পর নড়েচড়ে বসে শিশুকল্যাণ কমিটি। কেরালার পাথানামথিত্তার দুটি থানায় পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন ৪০ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় নির্যাতিতা নাবালিকা ছিলেন। তাই শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো) এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনেও মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
কেরলের শিশুকল্যাণ কমিটির পাথানামথিত্তা শাখার মুখপাত্র এন রাজীব বলেন, ‘বিষয়টা খুব গুরুতর। মেয়েটির অভিযোগ, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই তাঁকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে’। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, মেয়েটিকে কাউন্সিলিংয়ের জন্য মনোবিদের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন