হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটাতে মরিয়া বিজেপি। হিমাচলের ছয় বিদ্রোহী কংগ্রেসের বিধায়কের সঙ্গে যোগ দিলেন সুখু সরকারকে সমর্থন করা আরও পাঁচজন বিধায়ক। এঁদের মধ্যে তিন জন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। সূত্রের খবর, এই ১১ জন বিধায়ক এদিন উত্তরাখণ্ডে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ড বর্তমানে বিজেপি শাসিত রাজ্য।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শনিবার সকালে ১১ জন বিধায়ককে হরিয়ানার নম্বর প্লেটযুক্ত একটি বাসে করে উত্তরাখণ্ডে পৌঁছাতে দেখা গেছে। আপাতত ওই বিধায়কেরা উত্তরাখণ্ডের একটি বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাকেও দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এর আগে বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু দিল্লিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন, ওই ছয় বিদ্রোহী বিধায়ক যদি নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন তাহলে তাঁদের ফের একবার সুযোগ দেওয়া হবে।
হিমাচল প্রদেশের রাজ্যসভা ভোটে এই ছয় বিধায়ক বিজেপির প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন। এরপর বিধানসভাতে বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিল পেশ করার সময় দলের হুইপ অমান্য করে ভোট দেওয়া থেকেও বিরত ছিলেন তাঁরা। তাই ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়।
যে ছ’জন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়, তাঁরা হলেন - রাজিন্দর রানা, সুধীর শর্মা, ইন্দর দত্ত লখনপাল, দেবিন্দর কুমার ভুটু, রবি ঠাকুর এবং চেতন্য শর্মা। যদিও এই ছ’জন বিধায়কের দলীয় হুইপ অমান্য করে ভোট না দেওয়াকে ‘সাহসিকতা’ বলে অভিনন্দন জানিয়েছিল বিজেপি।
হিমাচল প্রদেশে রাজ্যসভা ভোটে জয়ী হয়েই কংগ্রেস সরকারের উপর আস্থাভোটের দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল শিবপ্রতাপ শুক্লের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। হিমাচল বিধানসভায় মোট ৬৮ টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৩৫। ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজের ফলে এখন রইলেন ৬২ জন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক নামল ৩৩-এ। এদিকে আরও ৫ বিধায়ক বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এখন দেখার রাজ্যপাল আস্থা ভোটের অনুমতি দিলে সুখবিন্দর সিংহ সুখু নিজের সরকারের পতন আটকাতে পারেন কিনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন