
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য যুদ্ধের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছেন। সোমবার তিনি ১৪টি দেশের উপর উচ্চ হারে আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন। এই শুল্কের হার সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
মায়ানমার ও লাওসের উপর আরোপিত শুল্ক হার ৪০ শতাংশ, যা এই তালিকায় সর্বোচ্চ। এছাড়া বাংলাদেশ ও সার্বিয়ার উপর ৩৫ শতাংশ, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার উপর ৩৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই তালিকায় ভারত নেই।
শুল্কের তালিকায় থাকা দেশগুলি:
লাওস – ৪০%
মায়ানমার – ৪০%
থাইল্যান্ড – ৩৬%
কম্বোডিয়া – ৩৬%
বাংলাদেশ – ৩৫%
সার্বিয়া – ৩৫%
ইন্দোনেশিয়া – ৩২%
দক্ষিণ আফ্রিকা – ৩০%
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা - ৩০%
মালয়েশিয়া - ২৫%
তিউনিসিয়া - ২৫%
জাপান - ২৫%
দক্ষিণ কোরিয়া - ২৫%
কাজাখস্তান - ২৫%
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ১ আগস্টের সময়সীমা “১০০ শতাংশ চূড়ান্ত নয়”। তিনি সবরকম আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তাঁর কথায় কিছু দেশ অতিরিক্ত ছাড় পেতে পারে। তবে একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেছেন যে, কোনো দেশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করলে, তা দ্বিগুণ করে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখযোগ্য, নতুন এই শুল্কগুলো পূর্বঘোষিত অটোমোবাইল, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম খাতের সঙ্গে মিলবে না। যেমন, জাপানি গাড়ির উপর বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে নতুন ২৫ শতাংশ যোগ হয়ে তা ৫০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিবেশে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই নতুন বাণিজ্য যুদ্ধ ইতিমধ্যেই আর্থিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি আগামী দিনে বৈশ্বিক বাণিজ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য এই পরিস্থিতি কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এখন দেখার বিষয়, আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানো যায় কিনা, নাকি এই শুল্ক যুদ্ধ আরও জটিল মোড় নেবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন