ব্রিকস (BRICS) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমাজমাধ্যমে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “ব্রিকস-এর আমেরিকা-বিরোধী নীতির জন্য এর সদস্য রাষ্ট্রগুলির উপর অতিরিক্ত ১০% শুল্ক আরোপ করা হবে”।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যে বিশ্ব বাণিজ্য মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের পূর্বঘোষিত ৯০ দিনের শুল্ক স্থগিতাদেশের সময়সীমা বুধবার শেষ হচ্ছে। সূত্রের খবর, সোমবার থেকেই ওয়াশিংটন থেকে কয়েক ডজন দেশে শুল্ক আরোপের চিঠি পাঠানো শুরু হবে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “এই নীতির কোনও ব্যতিক্রম হবে না।”
সম্প্রতি ব্রাজিল, চীন, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সহ ব্রিকস দেশগুলি সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছে। ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরো শহরে চলছে দু’দিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে ইরানের উপর মার্কিন ও ইজরায়েলি হামলার নিন্দা করা হয় এবং গাজা থেকে ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
এমনকি ব্রিকস সম্মেলনে পহেলগাঁও হামলা নিয়েও তীব্র নিন্দা করেছে ভারত। নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'সন্ত্রাসের নিন্দা করা আমাদের নীতি হওয়া উচিত। নিজেদের সুবিধা দেখে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করা কোনো ক্ষেত্রে উচিত নয়। ভারত সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসের মদতদাতা। তাই দু’দেশকে একই মাপকাঠিতে ফেলা ঠিক নয়। অনেকেই নিজের ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক সুবিধের জন্য সন্ত্রাস নিয়ে চুপ করে থাকেন।’’ ব্রিক্স-এর যৌথ বিবৃতিতে এই সমস্ত হামলারই তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।
যদিও ট্রাম্প তাঁর পোস্টে নির্দিষ্ট করে বলেননি ঠিক কোন নীতিগুলিকে তিনি "আমেরিকা-বিরোধী" মনে করছেন। তবে অতীতে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, ব্রিকস যদি মার্কিন ডলার পরিত্যাগ করে নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য শুরু করে, তাহলে তাদের উপর ১০০% শুল্ক আরোপ করা হবে।
ব্রিকস দেশগুলি ইতিমধ্যে একটি আন্তঃসীমান্ত অর্থপ্রদান ব্যবস্থার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এর ফলে আগামী দিনে ডলারের প্রভাব কমাতে সাহায্য হতে পারে। যা ভালোভাবে মেনে নিতে পারছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন