

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরও কড়া করল ট্রাম্প প্রশাসন। পূর্ণ ও আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৯ করার নির্দেশ দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবারই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকায় সই করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই “স্ক্রিনিং, ভেটিং এবং তথ্য আদান–প্রদানের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের গুরুতর ঘাটতি” দেখিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা জাতীয় নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন, অভিবাসন আইন প্রয়োগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির স্বার্থে অপরিহার্য।
নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৭টি দেশকে পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। ১৫টি দেশের উপর আরোপ করা হয়েছে আংশিক নিষেধাজ্ঞা। সংবাদ সংস্থা সিএনএন সূত্রে খবর, এই নতুন বিধিনিষেধ আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নতুন যুক্ত দেশ - লাওস, সিয়েরা লিওন, বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া। (লাওস ও সিয়েরা লিওন আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল, আর দক্ষিণ সুদানে আগে থেকেই উল্লেখযোগ্য ভ্রমণ বিধিনিষেধ কার্যকর ছিল)। এছাড়া, প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যু করা ভ্রমণ নথি বহনকারী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নতুন যুক্ত দেশগুলি হল অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বেনিন, আইভরি কোস্ট, ডোমিনিকা, গ্যাবন, গাম্বিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, তানজানিয়া, টোঙ্গা, জাম্বিয়া ও জিম্বাবোয়ে।
বর্তমানে পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলি -
আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
বর্তমানে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশ
বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলি যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটক হিসেবে প্রবেশ বা স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে আগত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তবে যাদের কাছে ইতিমধ্যেই বৈধ ভিসা রয়েছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা (গ্রিন কার্ডধারী), কূটনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ বা যাদের প্রবেশ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে তাঁরা এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন