
সরকারি দফতরে গণছাঁটাই নিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফেডারেল কর্মীদের গণছাঁটাইয়ের উপর নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা খারিজ করেছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে আর কোনও আইনি বাধা থাকলো না ট্রাম্পের জন্য।
সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের নির্দেশ বাতিল করলেও ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। বিচারকদের স্বাক্ষরহীন একটি নির্দেশিকায় জানান, ট্রাম্প চাইলে কর্মী ছাঁটাই করতে পারেন। এতে সুপ্রিম কোর্টের কোনও আপত্তি নেই। যদিও মামলা এখনও চলবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়র বলেন, “এই মুহূর্তে আদালতের সামনে নির্দিষ্ট পুনর্গঠন পরিকল্পনাগুলি নেই, ফলে আমরা সেগুলির বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না”।
বিচারপতি কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন একমাত্র ভিন্নমত পোষণকারী হিসেবে মন্তব্য করেন, “রাষ্ট্রপতির এমন একতরফা সিদ্ধান্ত আমাদের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ জানায়। সরকার পুনর্গঠনের ক্ষমতা কংগ্রেসের, রাষ্ট্রপতির একার নয়”।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিম্ন আদালতে মামলাটি যেমন চলছিল তেমনই চলতে পারে। সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে, মে মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল বিচারক সুসান ইলস্টন এই গণছাঁটাই পরিকল্পনা স্থগিত করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এই পদক্ষেপের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, হোয়াইট হাউসে পুনরায় ফিরে আসার পর জানুয়ারিতে একটি নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প ফেডারেল সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেন, "অপরিহার্য নয় এমন" কর্মীদের ছাঁটাই করা হোক। এই উদ্যোগের নেতৃত্বে ছিলেন এলন মাস্কের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (DOGE)'।
যার বিরোধিতা করে একটি শ্রমিক ইউনিয়ন ও অলাভজনক সংগঠনের জোট মামলা করেছিল। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই এ ধরনের ব্যাপক ছাঁটাই ও সংস্থার পুনর্গঠন সংবিধানবিরোধী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন