
আমেরিকা থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ভারতে ফেরত পাঠাতে শুরু করলো ট্রাম্প প্রশাসন। ২০৫ জনের বেশি ভারতীয়কে সামরিক বিমানে করে নয়াদিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁরা সকলেই বেআইনিভাবে আমেরিকায় বসবাস করছিলেন।
বৃহস্পতিবার টেক্সাস থেকে C-17 মার্কিন সামরিক বিমানে করে ২০৫ জনকে দিল্লিতে পাঠানো হয়। ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আধিকারিকরা দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁদের গ্রহণ করেন। এর আগে মার্কিন সামরিক বিমান পেরু, হন্ডুরাস এবং গুয়াতেমালার অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠিয়েছিল।
সূত্র মারফত জানা যায়, বহিষ্কৃত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের আলোচনা চলছিল এবং অভিবাসন সংক্রান্ত চুক্তির আওতায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও ভারত সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
২০৫ জনের মধ্যে বেশিরভাগই মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন এবং পরে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে মার্কিন অভিবাসন আদালত তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেয়। অনেকে আবার নকল নথি বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বেআইনি ভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। যা মার্কিন আইনে স্বীকৃত নয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয়, বরং বিশ্বের যে কোনো স্থানে যদি ভারতীয়রা অবৈধভাবে বসবাস করেন তাহলে তাঁদের আমরা ফিরিয়ে নেব।
ভারত সরকার বর্তমানে বহিষ্কৃতদের পুনর্বাসনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে যারা যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন, তাদের কর্মসংস্থান ও সামাজিক পুনর্বাসনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
শুধু ট্রাম্প প্রশাসন নয়, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনও অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল। বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার দেশগুলো থেকে অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে মার্কিন সফরে যেতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে এইভাবে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন থাকে সেটাই দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন