Bangladesh: ১৮ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের ডাক আওয়ামী ছাত্র শাখার - কোনও অনুমতি নয়, জানালো অন্তর্বর্তী সরকার

People's Reporter: বলা আছে – ১ থেকে ৫ লিফলেট বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি সড়ক, রেল, জল, বিমান, বন্দরে অবরোধ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি সর্বাত্মক হরতাল।
মহম্মদ ইউনুস ও শেখ হাসিনা
মহম্মদ ইউনুস ও শেখ হাসিনা ফাইল ছবি, গ্রাফিক্স আকাশ
Published on

আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিলো শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ। বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছে আওয়ামী লিগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লিগ জানিয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কর্মসূচির সমর্থনে লিফলেট বিলি শুরু হবে।

বুধবার বিকেলে করা এক ফেসবুক পোষ্টে আওয়ামী লিগ জানিয়েছে, “অবৈধ-অসাংবিধানিক, হত্যা-সন্ত্রাস-উগ্রপন্থার মাধ্যমে ক্ষমতার জবরদখলকারী, ইতিহাসের জঘন্যতম রক্তপিপাসু গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট ইউনুস সরকারকে বিদায় করে প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে…” ইত্যাদি ইত্যাদি। এই আবেদনের শেষ বলা হয়েছে, “শেখ হাসিনার আহ্বানে দুর্বার ছাত্র-গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে।

কর্মসূচির মধ্যে বলা আছে – ১ থেকে ৫ লিফলেট ও প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি সড়ক, রেল, জল, বিমান, বন্দরে অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল।

আওয়ামী লিগের এই হরতালের ডাকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লিগের পতাকার নিচে কেউ অবৈধ বিক্ষোভ করার সাহস দেখালে তাঁকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। “বাংলাদেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনও ধরণের চেষ্টাকে সুযোগ দেওয়া হবেনা।”

নিজের ফেসবুক পোষ্টে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, “যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ এই গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড এবং প্রকাশ্য দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চাইবে এবং যতক্ষণ না তাদের অন্যায়কারী নেতাকর্মীরা বিচার ব্যবস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করে তাদের অপরাধের জন্য বিচারকার্যের প্রক্রিয়া শুরু করে পাপমোচন করতে উদ্যোগ না নেবে এবং যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ তাদের বর্তমান নেতৃত্ব ও ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে নিজেকে আলাদা না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দিয়েছিল?”

গতবছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগের ছাত্রশাখা বাংলাদেশ ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের ডাকা বিভিন্ন বৈঠকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও আওয়ামী লিগের প্রতিনিধিরা থাকছেন না। আওয়ামী লিগের শীর্ষ নেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মহম্মদ ইউনুস।

মহম্মদ ইউনুস ও শেখ হাসিনা
Bangladesh: "আমাকে ও আমার ছোটোবোনকে মেরে ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল" - অডিও বার্তায় শেখ হাসিনা
মহম্মদ ইউনুস ও শেখ হাসিনা
Bangladesh: বাংলাদেশে নতুন পাঠ্যপুস্তকে ছাত্র আন্দোলন; স্বাধীনতা কে প্রথম ঘোষণা করেন? চলছে বিতর্ক

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in