
“মাত্র কুড়ি পঁচিশ মিনিটের ব্যবধানে রেহানা এবং আমি মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।” এক অডিও বার্তায় একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী লিগ ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক অডিও বার্তায় একথা জানিয়েছেন হাসিনা।
ওই অডিও বার্তায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লিগ সুপ্রিমো জানান, ক্ষমতাচ্যুত হবার পরেই তাঁকে এবং তাঁর ছোটোবোনকে মেরে ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল। গত বছরের আগস্ট মাসে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
গত বছরে বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভের জেরে আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা এবং এর পরেই তিনি দেশত্যাগ করে ভারতে আসনে। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় নোবেল বিজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে। সূত্র অনুসারে, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দেশজোড়া বিক্ষোভে কমপক্ষে ৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ওই অডিও বার্তায় শেখ হাসিনা আরও বলেন, “যদিও আমার কষ্ট হচ্ছে। আমি দেশ ছাড়া, আমি ঘর ছাড়া, সবকিছু জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এবারে তো বেঁচে যাবার কথা নয়। তারা যেভাবে পরিকল্পনা করেছিল আমাকে হত্যা করার তা আপনারা পরবর্তীতে দেখেছেন।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার শেখ হাসিনার ওপর প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা হলেও তাঁর কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীর কারণে তিনি প্রতিবারই রক্ষা পেয়েছেন। ২০০৪-এর ২১ আগস্ট ঢাকায় তাঁর ওপর এক গ্রেনেড হামলা হয়। যে হামলায় ২৪ জনের মৃত্যু হয় এবং ৫০০ জন আহত হলেও শেখ হাসিনা রক্ষা পান। ওইদিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের ডাকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা।
২০০০ সালের জুলাই মাসেও শেখ হাসিনার ওপর হামলার চেষ্টা হয়। সেবার কোটালিপাড়ায় এক বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা হয়। সেবার ২২ জুলাই শেখ কোটালিপাড়ায় এক সমাবেশে ভাষণ দেবার কথা ছিল তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনার। যদিও তাঁর সমাবেশের আগেই ২১ জুলাই ওই অঞ্চল থেকে ৪০ কেজির বোমা উদ্ধার হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন