
ভারতের পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তির কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
'বন্ধু' ভারতের উপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। এই আবহেই পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লেখেন, “আমরা পাকিস্তানের সাথে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছি। যার মাধ্যমে পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের বিশাল তৈলভাণ্ডারের উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করবে। এই অংশীদারিত্বের নেতৃত্ব দেবে এমন তেল কোম্পানি নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে।”
পাশাপাশি ট্রাম্প ভারতকে কার্যত খোঁচা দিয়ে বলেন, “কে জানে, হয়তো তারা (পাকিস্তান) একদিন ভারতে তেল বিক্রি করবে!”
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইসলামাবাদ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে মোট পণ্য বাণিজ্য ছিল ৭.৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালের ৬.৯ বিলিয়ন ডলারের থেকে বেড়েছে। তবে ২০২৪ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫.২ শতাংশ বেশি।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবলমাত্র একটি বাণিজ্যিক উদ্যোগ নয় বরং এশিয়ায় চীনের প্রভাব কমানোর জন্য ওয়াশিংটনের কৌশলগত পদক্ষেপও হতে পারে। পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র "ন্যাটো-বহির্ভূত প্রধান মিত্র" হিসেবে মনোনীত করেছে, যা তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করে।
পাকিস্তানকে আমেরিকার বাণিজ্যিক সহায়তা নিয়ে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ভারতের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য করার জন্য ভারতের উপর জরিমানা আরোপ করেছেন। ইরানের সাথে বাণিজ্য করার জন্য ভারতীয় কোম্পানিগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছেন। কিন্তু ইরানের রাষ্ট্রপতির পাকিস্তান সফরের ঠিক আগে, তিনি হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান এবং উন্নয়নের জন্য পাকিস্তানের সাথে একটি বৃহৎ অংশীদারিত্বের ঘোষণা করলেন। পাশাপাশি একটি বাণিজ্য চুক্তিও করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন