
লস এঞ্জেলসের অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ দমনে ইরাক এবং সিরিয়ায় থাকা মার্কিন সেনার থেকেও বেশি সেনা মোতায়েন করেছেন ট্রাম্প। বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের তথ্যানুযায়ী, ইরাকে ২৫০০ এবং সিরিয়াতে ২০০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু তার থেকেও বেশি মার্কিন সেনা পাঠানো হয়েছে লস এঞ্জেলসে। লস এঞ্জেলসে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার চলা বিক্ষোভ দমন করতে সোমবার ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউ এস মেরিনসকে নামানো হয়।
মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল স্কট শেরম্যানের মতে, বর্তমানে ৭০০ মেরিনস এবং ৪০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৪৭০০ সেনা রয়েছে শহরটিতে। তারা স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় কাজ করবে।
পেন্টাগন সূত্রে খবর, ৬০ দিনের বেশি ন্যাশনাল গার্ড এবং মেরিনস মোতায়েন থাকলে তার খরচও বিপুল। আনুমানিক ১৩৪ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে ট্রাম্প সরকারের। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১,১৪৬ কোটি টাকারও বেশি।
উল্লেখযোগ্যভাবে লস এঞ্জেলস থেকে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হলেও এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে আরও ৯টি শহরে। যার মধ্যে আছে নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, সানফ্রান্সিসকো, অস্টিন, সান্টা আনা, টেক্সাস, ডালাস, শিকাগো প্রভৃতি শহর। রবিবার এবং সোমবার লস এঞ্জেলস-এর কমপক্ষে ১০০টি রাস্তা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন বিক্ষোভকারীরা।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম লস এঞ্জেলসে মেরিন পাঠানোর বিরোধিতা করেছেন। তিনি জানান, মেরিনদের পাঠানো "ক্ষমতার স্পষ্ট অপব্যবহার"। ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবার কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রেসিডেন্ট গ্যাভিন নিউসমকে গ্রেপ্তারির হুঁশিয়ারিও দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ঘটনাচক্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রিপাবলিকান এবং গ্যাভিন নিউসম (Gavin Newsom) ডেমোক্র্যাট দলের।
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস (Karen Bass) ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি শহরে অভিবাসন অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রশাসন যে ভয় এবং অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে তার ফলে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এই অভিযান আমাদের শহরে ভয় এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে, যা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন