South Korea Plane Crash: দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, ১৭৯ যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা, জীবিত ২

People's Reporter: ব্যাঙ্কক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ানে আসছিল জেজু এয়ার সংস্থার বিমান ৭সি২২১৬। বিমানে যাত্রী ছিলেন ১৭৫ জন এবং ৬ জন বিমানকর্মী। দুর্ঘটনায় ২ কেবিন ক্রু ছাড়া সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া জেজু বিমান সংস্থার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া জেজু বিমান সংস্থার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান ছবি চায়না ডেইলি এক্স হ্যান্ডেল থেকে সংগৃহীত
Published on

মৃতের সংখ্যা নিয়ে প্রথম থেকেই বিভ্রান্তি ছিল। কখনও ২৯, কখনও ৬২। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন সূত্র থেকে অনুমান করা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জন যাত্রীর। জীবিত আছেন ২ জন বিমানকর্মী। এদিনই দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে নামার ঠিক আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। যে দুর্ঘটনায় বিমানের ২ কেবিন ক্রু ছাড়া সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সব থেকে বড়ো বিমান দুর্ঘটনা।

ব্যাঙ্কক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ানে আসছিল জেজু এয়ার সংস্থার বিমান ৭সি২২১৬। বিমানটিতে যাত্রী ছিলেন ১৭৫ জন এবং ৬ জন বিমানকর্মী। বিভিন্ন সংবাদসংস্থার সূত্র অনুসারে, সম্ভবত যান্ত্রিক কোনও ত্রুটিতে ল্যান্ডিং-এর সময় বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যার ফলে ল্যান্ডিং-এর সময় সমস্যা দেখা দেয় এবং বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। অসমর্থিত সূত্রের খবর অনুসারে, ল্যান্ডিং-এর সময় কোনও পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল বিমানের। যার ফলে বিমানে বিস্ফোরণ ঘটে এবং বিমানের ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৪ জন বিমানকর্মীর মৃত্যু হয়। যদিও সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত ৮৫ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা।

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে এই দুর্ঘটনা ঘটে রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯.০৩ মিনিটে। দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ার ফ্লাইট সংস্থার এই বিমান থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্কক থেকে আসছিল।

এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৪৬ জন মহিলা এবং ৩৯ জন পুরুষ। বিমান থেকে জীবন্ত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যারা দু’জনেই বিমানকর্মী। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদসংস্থা ইওনহাপ জানিয়েছে দুর্ঘটনার প্রকৃতি অনুসারে কোনও যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

জানা গেছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি ১৫ বছরের পুরোনো বোয়িং ৭৩৭-৮০০ জেট। বিমানটিতে অন্যান্য যাত্রীদের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের দু’জন যাত্রী ছিলেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্যাটোংটারন শিনাওয়ারতা এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) দুর্ঘটনায় মৃতদের জন্য শোক বয়কট করেছেন।

এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ১৯৯৩ সালে আসিয়ানা এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনায় ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০২ সালে এয়ার চায়নার বিমান দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন যাত্রীর মধ্যে ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া জেজু বিমান সংস্থার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান
Bangladesh: ভারতের কাছে কূটনৈতিক পর্যায়ে আবেদন - শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানালো বাংলাদেশ
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া জেজু বিমান সংস্থার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান
Labour Strike: উৎসবের মরসুমে আমেরিকায় ধর্মঘটে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক! ক্ষতির মুখে দুই নামী কোম্পানি

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in