নেপালের সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী। শনিবার তিনি সংসদ ভেঙে দেবার কথা ঘোষণা করেছেন এবং আগামী নভেম্বর মাসে দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে বলেও জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির এই ঘোষণায় গত ডিসেম্বর মাস থেকে চলা রাজনৈতিক টানাপোড়েনের এখানেই ইতি হল।
রাষ্ট্রপতির এদিনের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী নভেম্বর মাসে দু দফায় নেপালে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নভেম্বরের ১২ এবং ১৯ তারিখ এই নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে এক ঘোষণায় রাষ্ট্রপতি জানান – সংসদে সরকার পক্ষ বা বিরোধী পক্ষ কেউই শুক্রবারের মধ্যে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি। এর আগে রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী শুক্রবারের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে নেপালে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু চলছে। যে সময় প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের পক্ষে মত দেন। এরপর পুষ্পকুমার দহাল ‘প্রচন্ড’র নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওয়িস্ট সেন্টার) সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। যাদের অভিযোগ ছিলো কে পি ওলি সংবিধান ধ্বংস করছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কর্মপদ্ধতি দেশে গণতন্ত্র রক্ষার পক্ষে ক্রমশ ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে।
গত ১০ মে নেপালে আস্থাভোটে পরাজিত হন প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি। রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারীর নির্দেশে এই আস্থাভোট নেওয়া হয়। যে আস্থাভোটে কে পি ওলির পক্ষে ভোট পড়ে ৯৩ এবং বিরোধীদের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৪। আস্থাভোটে প্রধানমন্ত্রীর পরাজয় দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল জানিয়েছিলো।
গত ১৪ মে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারী সিপিএন-ইউএমএল-এর চেয়ারম্যান ওলিকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন। ওইদিন রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নেপালের সংবিধানের ৭৮ (৩) ধারা অনুযায়ী, পার্লামেন্ট হাউসের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতা ওলিকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করছেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারী।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।