
নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো নেপাল। সোমবারের পর মঙ্গলবারও রাজধানী কাঠমান্ডুতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে যুব সমাজ। কারফিউ উপেক্ষা করেই আন্দোলন আরও তীব্র করার ডাক দিচ্ছে তারা। সূত্রের খবর, নেপালের উপ প্রধানমন্ত্রী সহ মোট ১০ জন মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন।
দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল। ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যানের প্রতিবাদে সোমবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নেপাল। পুলিশ জনতা সংঘর্ষে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউও জারি করে নেপাল সরকার। উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভের জেরে ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেপাল সরকার।
নেপাল প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের বাসভবনেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। নেপালে শাসকদলের পার্টি অফিসগুলি লক্ষ্য করে হামলার খবর প্রকাশ্যে আসছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই নতুন করে বিক্ষোভ দেখা যায় নেপালে। জনতার চাপে, বন, আইন, স্বাস্থ্য, কৃষি সহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে মোট ১০জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি আজ সন্ধ্যা ৬টার সময় সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। যদিও আর একটি সূত্র মারফত খবর, প্রধানমন্ত্রী ওলি সাত জন মন্ত্রী নিয়ে নেপাল ছেড়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে এক সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, ইউটিউব সহ ওই ২৬টি সংস্থাকে সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছিল নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য। কিন্তু সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এরপরেই এগুলি বন্ধের রায় দেয় নেপালের সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে যুব সমাজ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন