* ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমার। সব থেকে বেশি ক্ষতি মান্দালয়ে।
* রিখটর স্কেলে মাত্রা ৭.৭ ম্যাগনিটিউড।
* মৃত প্রায় ৭০০, আহত ১,৬৭০।
মায়ানমারে শুক্রবারের ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১,৬৭০ জন। এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু মানুষ নিখোঁজ। শনিবার সে দেশের ক্ষমতাসীন জুন্টা একথা জানিয়েছে। তথ্য অনুসারে গতকাল পরপর ২ বার ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়েছে মায়ানমার। যার মধ্যে প্রথমটির মাত্রা ছিল ৭.৭ ম্যাগনিটিউড। ভূমিকম্পের পরেই মায়ানমারের ৬টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
মায়ানমারের সরকারি সংবাদমাধ্যম প্রাথমিক ভাবে ১৪৪ জনের মৃত্যু খবর জানিয়েছিল। শুক্রবার মায়ানমারের সময় দুপুর ১২.৫০ মিনিটি নাগাদ মধ্য মায়ানমারে প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরপর কমপক্ষে ৬টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। যার মধ্যে একটির মাত্রা ছিল ৬.৪ ম্যাগনিটিউড।
গতকাল ভূমিকম্পের উৎসস্থল মায়ানমার হলেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে থাইল্যান্ড, চিন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ এবং ভারতে। যার মধ্যে থাইল্যান্ড থেকেও বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিকাল সার্ভে (USGS)-র তথ্য অনুসারে মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের ১৭.২ কিলোমিটার দূরে ভূমি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের মূল কেন্দ্র। প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৭ ম্যাগনিটিউড এবং দ্বিতীয় ভূকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৪ ম্যাগনিটিউড।
মায়ানমারের সামরিক সরকারের নেতা জেনারেল মিন অং হ্লাইং ভূমিকম্পে মৃত ও আহতের সংখ্যা জানিয়ে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী মায়ানমারের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)-এর জন্য অব্যাহতভাবে ব্যয় কমানো সত্ত্বেও এক্ষেত্রে ওয়াশিংটন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারের জন্য সাহায্য পাঠাবে।
ভূমিকম্পের ফলে মায়ানমার জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দালয়। সেখানে একাধিক বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শহর জুড়ে চলছে উদ্ধারকাজ। প্রায় ১০০ বছর আগে নির্মিত সাগাইং থেকে ইরাওয়াদ্দি নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আভা সেতু ভেঙে পড়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন