
মায়ানমারে ভূমিকম্পের পর যত সময় এগোচ্ছে তত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ২৫০০ জন।
শুক্রবার জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গোটা দেশজুড়েই। শনিবারই মায়ানমারের সিনিয়র জেনারেল এইচ.ই.মিন অং হ্লাইং-এর সাথে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি।
এক্স মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, 'একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশী হিসেবে, ভারত এই কঠিন সময়ে মায়ানমারের জনগণকে সমবেদনা জানাচ্ছে। OperationBrahma-র অংশ হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী, মানবিক সহায়তা, অনুসন্ধান ও উদ্ধার দল দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হচ্ছে'।
ভারতের পাশাপাশি মায়ানমারে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে মালয়েশিয়াও। তাদের তরফ থেকে রবিবার ৫০ জনের একটি দল পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। যারা উদ্ধারকাজে অংশ নেবে। রাশিয়ার তরফ থেকে ১২০ জন উদ্ধারকারী ও ত্রাণসামগ্রী বহনকারী দুটি বিমান পাঠিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ ইতিমধ্যেই ত্রাণের কাজ শুরু করার জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের ঘোষণা করেছে।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিকাল সার্ভে (USGS)-র তথ্য অনুসারে মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের ১৭.২ কিলোমিটার দূরে ভূমি পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের মূল কেন্দ্র। প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৭ ম্যাগনিটিউড এবং দ্বিতীয় ভূকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৪ ম্যাগনিটিউড।
ভূমিকম্পের ফলে মায়ানমার জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দালয়। সেখানে একাধিক বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শহর জুড়ে চলছে উদ্ধারকাজ। প্রায় ১০০ বছর আগে নির্মিত সাগাইং থেকে ইরাওয়াদ্দি নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আভা সেতু ভেঙে পড়েছে।
অন্যদিকে, কম্পনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককেও প্রভাব পড়ে। সেখানে হোটেল, শপিং মল কাঁপতে শুরু করেছে। ভেঙে পড়ছে নির্মীয়মাণ বাড়ি। কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতা, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতেও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন