

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'শাটডাউন'-র প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান পরিষেবা। ৭৫০-র বেশি বিমান বাতিল হয়েছে বলেই খবর। আমেরিকার ৪০টি বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। এই অচলাবস্থার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিমানযাত্রীদের।
ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়্যার অনুসারে, শুক্রবারের জন্য নির্ধারিত ৭৫০টিরও বেশি মার্কিন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আমেরিকান এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা তাদের ফ্লাইটের সময়সূচী হ্রাস করছে। ফলে প্রতিদিন ২২০টি ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে। ডেল্টা এয়ারলাইন্স শুক্রবারের জন্য নির্ধারিত প্রায় ১৭০টি ফ্লাইট বাতিল করছে। এছাড়া সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স নির্ধারিত প্রায় ১০০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
শাটডাউনের ফলে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা কর্মী ও অন্যান্য কর্মীদের বেতন ছাড়াই কাজ করানো হচ্ছে। যার কারণে কর্মীর অভাব দেখা দিচ্ছে। ফ্লাইটঅ্যাওয়্যারের তথ্য অনুসারে বৃহস্পতিবার, ৬,৪০০ টিরও বেশি মার্কিন ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন হয়েছে। বোস্টন এবং নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে যাত্রীদের গড়ে ২ ঘন্টারও বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বুধবার মার্কিন পরিবহণ সচিব সিন ডাফি ১০% বিমান কম উড়বে বলে আগেই জানান। ৪০টি বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এই অচলাবস্থার জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেছেন তিনি। ডাফি বলেন, সরকারের সাথে ডেমোক্র্যাটরা সহমত হলেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর আমেরিকায় 'শাটডাউন' ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্রথম দফায় মার্কিন প্রশাসন ৩৫ দিনের জন্য অচল হয়ে পড়েছিল। সেটাই ছিল আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ‘শাটডাউন’। তবে সেই রেকর্ডকেও ছাপিয়ে এবার ৩৭ দিনে পড়লো শাটডাউন।
১ অক্টোবর থেকে আমেরিকায় নতুন অর্থবর্ষ শুরু হয়। ১ অক্টোবরের আগেই পরবর্তী অর্থবর্ষের জন্য নতুন তহবিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এবার নতুন বিল নিয়ে সেনেট সদস্যেরা একমত হতে পারেননি। মার্কিন সেনেট প্রশাসনের তহবিল সংক্রান্ত বিল অনুমোদন করতে পারেনি। বিল অনুমোদন না পাওয়ায় মার্কিন কংগ্রেসকে কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি, যা প্রতি অর্থবর্ষের শুরুতে সরকারের বিভিন্ন দফতরের কাজ চালানোর জন্য দেওয়া হয়। যার জেরে এই শাটডাউন ঘোষণা করা হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন