

১৯৫০-৫৩ কোরিয়ান যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন পরিবারের সদস্যদের সাথে পুনর্মিলন চাইছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বহু মানুষ। সরকারি তথ্য অনুসারে প্রতি ১০ টির মধ্যে ৬টিরও বেশি পরিবার তাঁদের বিচ্ছিন্ন পারিবারিক সদস্যদের সঙ্গে পুনর্মিলনে ইচ্ছুক। এঁদের বয়স ৮০ বা তার ঊর্ধ্বে।
ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, এই তথ্য স্পষ্ট করছে যে, ডিমিলিটারাইজড জোনের অন্য প্রান্তে তাঁদের পারিবারিক সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দ্রুত করে দেওয়া উচিৎ।
দক্ষিণ কোরিয়ার জীবিতদের মধ্যে ৪৬,২১৫ জন, যাঁরা উত্তর কোরিয়ায় তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে পুনর্মিলনের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। মিনিস্ট্রি অফ ইউনিফিকেশনের তথ্য অনুসারে, এঁদের মধ্যে ৩০,১৪৮ বা ৬৫.২ শতাংশের বয়স গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮০ বা তার বেশি ছিল।
মোট ১,৩৩,৬১৯ জন দক্ষিণ কোরিয়ান ১৯৮৮ সাল থেকে বিচ্ছিন্ন পরিবারের সদস্য হিসাবে নাম নথিভুক্ত করেছেন। এঁদের মধ্যে ৮৭,৪০৪ জন মারা গেছেন। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুসারে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে মৃত্যু হয়েছে আবেদনকারী ২৯৬ জনের।
২০০০ সালে প্রথম আন্ত-কোরিয়ান শীর্ষ বৈঠকের পর থেকে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া ২১ রাউন্ড মুখোমুখি পারিবারিক পুনর্মিলনের ব্যবস্থা করেছে। শেষ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত হয়েছে আগস্ট ২০১৮ তে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন