• দলীয় নির্বাচনে ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে লিবারেল দলের নেতা নির্বাচিত হলেন মার্ক কার্নি।
• তিনিই কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।
• রাজনৈতিক মহলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত মার্ক কার্নি।
• শুরুতেই ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন - “কানাডাকে কোনোভাবেই আমেরিকার অংশ হতে দেব না”।
কানাডার ক্ষমতাসীন দল ‘লিবারেল পার্টি’র নেতৃত্বে এলেন ৫৯ বছর বয়সী মার্ক কার্নি। দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে প্রায় ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী ‘অর্থমন্ত্রী’ ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে তিনি পরাজিত করেন। উল্লেখযোগ্য, এই মার্ক কার্নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচক। সম্প্রতি, কানাডা ও আমেরিকার মধ্যেকার শুল্ক যুদ্ধের আবহে যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
নেতৃত্বের লড়াইয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভের পরেই আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজয়ী ভাষণে তিনি বলেন – “কানাডাকে কোনোভাবেই আমেরিকার অংশ হতে দেব না”। প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম রাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি কানাডাবাসী।
মার্ক কার্নি বলেন – “আমেরিকা কানাডা নয়। কানাডা কখনও কোনওভাবেই, কোনও আকারে বা কোনো অবস্থাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না। আমেরিকানরা আমাদের সম্পদ, আমাদের জল, আমাদের জমি, আমাদের দেশ চায়। যদি তারা সফল হয়, তাহলে তারা আমাদের জীবনযাত্রাকে ধ্বংস করে দেবে।”
৫৯ বছর বয়সী মার্ক রাজনীতিতে নবাগত হলেও তিনি এর আগে ‘ব্যাঙ্ক অফ কানাডা’ এবং ‘ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড’ উভয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ডিসেম্বরে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘গ্রেট স্টেট অফ কানাডা’-র ‘গভর্নর’ হিসেবে উল্লেখ করে কানাডার পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। ৩ ফেব্রুয়ারি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর, ট্রাম্প পরামর্শ দিয়েছিলেন যে কানাডার উচিত ৫১তম মার্কিন ‘স্টেট’ হওয়া। তাহলে তারা মার্কিন শুল্ক এড়াতে পারবে, পাশাপাশি সামরিক সুরক্ষাও পাবে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য কানাডার ‘সার্বভৌমত্ব’-র অপমান হিসাবেই বিবেচনা করছে কানাডা সরকার।
মার্ক কার্নি বলেছেন – “ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির বিরুদ্ধে কানাডার পাল্টা ব্যবস্থা ততক্ষণ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্যে রাজি হবে। আমরা তাকে সফল হতে দিতে পারি না এবং দেব না। কানাডা যথেষ্ট শক্তিশালী।”
উল্লেখ্য, নয় বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার পর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানুয়ারিতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। জনপ্রিয়তা কমতে থাকায় ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নতুন মুখ প্রয়োজন ছিল। তাই দলের আভ্যন্তরীণ নির্বাচন করতে হয়। আপাতত ট্রুডোকে সরিয়ে তিনিই হবেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন