
পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সোমবারই এই কঠিন পদক্ষেপের ঘোষণা করতে পারেন তিনি। কানাডার সংবাদমাধ্যম 'দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল' সূত্রে এমন জানা যাচ্ছে।
দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল-র প্রকাশিত প্রতিবেদনে (রবিবার) বলা হয়েছে, তিনটি সূত্র থেকে জানা গেছে, ট্রুডো এই সপ্তাহের মধ্যে তাঁর সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। সোমবার যদি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা না দেন তাহলে বুধবার লিবারেল পার্টি থেকে পদত্যাগ করতে পারেন ট্রুডো।
আগামী বুধবার লিবারেল পার্টির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। দলের মধ্যেই তাঁর সমালোচনায় সরব হয়েছেন একাধিক নেতা। ঘরের এবং আন্তর্জাতিক চাপের সামনে নতি স্বীকার করে সম্ভবত পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। ট্রুডো অবিলম্বে পদত্যাগ করবেন নাকি নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
২০১৩ সালে লিবারেল নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ট্রুডো দলের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। একাধিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনে লিবারেল পার্টি কনজারভেটিভদের কাছে (রক্ষণশীল) কাছে বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারে। তাই আগেই পদত্যাগ করতে পারেন ট্রুডো।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্কের সাথে আলোচনা করেছেন ট্রুডো, তিনি অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিতে আগ্রহী কিনা। কানাডার একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অন্টারিও প্রদেশের ৭৫ জনের মধ্যে ৫১ জন এমপি জাস্টিন ট্রুডোর উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন কানাডায় ক্ষমতাতে রয়েছেন ট্রুডো। ফলে তিনি পদত্যাগ করলে কানাডার রাজনৈতিক সমীকরণ কী হবে সেদিকে নজর রয়েছে সে দেশের রাজনীতিবিদদের। বিশেষজ্ঞদের মতে ট্রুডোর আমলে কানাডার সাথে অন্যান্য রাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। যার অন্যতম উদাহরণ ভারত। ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে খালিস্তানপন্থী জঙ্গী হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের পরেই ভারত-কানাডার সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু। পাশাপাশি আমেরিকার ট্রাম্প সরকারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এমন সরকার বা এমন নেতাকে ক্ষমতায় দেখতে চাইছে কানাডবাসী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন