Japan: কমপক্ষে ২০ বার ভূমিকম্প, বছরের প্রথম দিনেই জাপানে সুনামি
নতুন বছরের প্রথম দিনেই সুনামির সাক্ষী রইলো জাপান। সোমবার কমপক্ষে ২০ বার উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প হবার পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। জাপানি গণমাধ্যমের সূত্র অনুসারে এদিন বিকেলে ১.২ মিটারেরও বেশি উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়েছে ইশিকাওয়া অঞ্চলে।
জাপানের পশ্চিম উপকূলের তোয়ামা অঞ্চলেও স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২৩ মিনিটে ৫০ সেন্টিমিটার উচ্চতার সুনামি ঢেউ আসে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম জিংহুয়া।
সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, ঢেউ ৫ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছতে পারে এবং কর্তৃপক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উঁচু জমিতে বা কাছাকাছি কোনও উঁচু বাড়িতে আশ্রয় নেবার নির্দেশ দিয়েছে।
কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে ইস্ট জাপান রেলওয়ে কোম্পানি ভূমিকম্পের কারণে তোহোকু, জোয়েৎসু এবং হোকুরিকু শিনকানসেন লাইনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে।
হোকুরিকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে ৩৬ হাজারেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে বহু মানুষ আহত হয়েছেন এবং এঁদের অধিকাংশকেই ইশিকাওয়ার সুজু সিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বহু জায়গাতেই রাস্তায় ফাটল ধরার কারণে অসুস্থদের হাসপাতালে আনার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জাপান সরকার টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় খবর আদান প্রদানের জন্য একটি অফিস স্থাপন করেছে।
এর আগে, জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) দেশের পশ্চিম উপকূলের বিস্তৃত অংশে সুনামি সতর্কতা জারি করে। যার মধ্যে রয়েছে ইশিকাওয়া, ফুকুই, নিগাটা, তোয়ামা, ইয়ামাগাটা এবং অন্যান্য অঞ্চল। পরপর শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর এই সতর্কতা জারি করা হয়। এদিনই রিখটর স্কেলে ৭.৬ ম্যাগনিটিউড তীব্রতার ভূমিকম্প মধ্য জাপানে জাপান সাগর উপকূলের একটি বিস্তৃত এলাকায় অনুভূত হয়।
আবহাওয়া সংস্থার মতে, স্থানীয় সময় বিকেল ৪:১০ মিনিটে (0710 GMT) অল্প গভীরতায় সবথেকে বড় কম্পনটি ঘটে। যা ইশিকাওয়া অঞ্চলের নোটো উপদ্বীপে ঘটেছে বলে জানা গেছে। এই ভূমিকম্পে মধ্য টোকিওর বাড়িগুলিও কেঁপে ওঠে। জাপানি ভূমিকম্পের তীব্রতা স্কেলে এই ভূমিকম্পকে ৭ তীব্রতার বলে রেকর্ড করা হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ইশিকাওয়ার নোটো অঞ্চলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যা ওয়াজিমার পূর্ব-উত্তরপূর্ব ৩০ কিমি দূরে, ৩৭.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে এবং ১৩৭.২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।
- With Agency Inputs
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

