

ফের যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হল ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে। শনিবার সাত-সকালে প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপ থেকে ইজরায়েলের উদ্দেশে মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে আনুমানিক প্রায় ৫ হাজার রকেট ছোঁড়া হয়। ইজরায়েলের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সেই হামলায় এখনও পর্যন্ত মৃত মোট ৪০ এবং গুরুতর আহত ৭৫০-এরও বেশি। এই ঘটনায় ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ভারত।
এরপরেই ইজরায়েল সরকারের তরফে সরকারিভাবে প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে প্যালেস্তাইনের সামরিক সংগঠন ‘হামাস’-এর তরফেও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’-এর ডাক দেওয়া হয়েছে।
ইজরায়েল প্রশাসনের দাবি, শনিবার সকালে গাজা থেকে দক্ষিণ ইজরায়েলের উদ্দেশ্যে লাগাতার রকেট ছোঁড়া হয়। এমনকি প্রাথমিক হামলার পর গাজা থেকে সশস্ত্র উগ্রপন্থীরা ইজরায়েলের মাটিতে অনুপ্রবেশ করছে বলেও দাবি সে দেশের প্রশাসনের। এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। সেইসব ভিডিওতেও দক্ষিণ ইজরায়েলের রাস্তায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বেশ কিছু উর্দিধারীদের দেখা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে গোলা-গুলির শব্দও।
ইজরায়েলের চোখে প্যালেস্তাইনের নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী ‘হামাস’-এর কমান্ডার মহম্মদ দিইফিও প্যালেস্তাইনের বাসিন্দা ও সেনাকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দিয়েছেন। গাজা থেকে উগ্রপন্থীদের অনুপ্রবেশের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করে দেশের নাগরিকদের ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে না বেরনোর নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েল প্রশাসন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এই হামলার ফল ভুগতে হবে হামাস-কে।”
অতীতেও একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন। বিশেষ করে গাজা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ চিরকালীন। ২০০৭ সালে সশস্ত্র সংগঠন হামাস-এর দখলে যায় গাজা। তারপরেও থামেনি সংঘর্ষ। বরং আরও গতি পেয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে ইজরায়েলের ওয়েস্ট-ব্যাঙ্কে দুই পক্ষের মধ্যে ফের গুলি বিনিময় হয়। সেই সংঘর্ষে প্রায় ২০০ প্যালেস্তাইনবাসী প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।
এরপর ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্যালেস্তাইনে প্রবেশ করে ঘরে ঘরে ঢুকে শুধুমাত্র ইজরায়েল বিরোধীদের হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও ওই অভিযানকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে হামলা বলে অভিহিত করে ইজরায়েল। এরপরেই শনিবার সকালে প্যালেস্তাইনের তরফে রকেট হামলার মাধ্যমে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন