

ইজরায়েলি বাহিনীর লাগাতার আক্রমণে গাজা স্ট্রিপে এখনও পর্যন্ত ২৩,৪৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক একথা জানিয়েছে। মন্ত্রকের সূত্র অনুসারে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১২ জনের এবং আহত হয়েছেন ১৯৪ জন। মোট মৃতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই শিশু ও মহিলা বলেও জানিয়েছে প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস বাহিনীর ইজরায়েল আক্রমণের পর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইজরায়েল বাহিনী। যে আক্রমণ এখনও চলছে। ইজরায়েলি বাহিনীর লাগাতার আক্রমণের জেরে এখনও পর্যন্ত আহত হয়েছে ৫৯,৬০৪ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৬,২০০ জনকে অবিলম্বে গাজার বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, “দক্ষিণ গাজা স্ট্রিপের হাসপাতালগুলির অবস্থা শোচনীয় এবং সেখানে চিকিৎসা চালিয়ে যাবার মত অবস্থা নেই। যদিও সেইসব হাসপাতালেই অধিকাংশ আহত আছেন।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে গাজার মোট ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে বর্তমানে ১৫টি আংশিক চালু আছে। এরমধ্যে ৯টি হাসপাতাল তাদের ক্ষমতার তুলনায় তিন গুণ বেশি আহতের চিকিৎসা চালাচ্ছে। সমস্ত হাসপাতালেই চিকিৎসা কর্মীর সংকট। এছাড়াও ওষুধ, অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম, জ্বালানী, পানীয় জলের সংকট চরমে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র আল কেদরা রাষ্ট্রসংঘের অধীন বিভিন্ন সংগঠনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন আহতদের চিকিৎসার জন্য ওষুধ, পানীয় জল এবং খাবারের প্রয়োজন। দ্রুত এর ব্যবস্থা না করা হলে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
রাষ্ট্রসংঘের অফিস ফর দ্য কো-অরডিনেশন অফ হিউম্যানেটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জানুয়ারির ১ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী জল, খাবার, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবনদায়ী বস্তুর যে সাহায্য পাঠানোর কথা ছিল তার মাত্র ২১ শতাংশ পাঠানো গেছে। ২৪টি এলাকার মধ্যে মাত্র ৫টি এলাকায় এই সহায়তা পৌঁছেছে।
রাষ্ট্রসংঘের রিফিউজি এজেন্সির তথ্য অনুসারে, জানুয়ারি মাস পর্যন্ত গাজার মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেককেই একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। গাজার মোট জনসংখ্যা ১.৯ মিলিয়ন বা ১৯ লক্ষ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন