
গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক বিমান হামলা চালালো ইজরায়েল। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনেরও বেশী মানুষের। মঙ্গলবার ভোর থেকেই এই হামলা শুরু হয়। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হানা বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা হামাসের কয়েক ডজন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, হামলায় নারী ও শিশু সহ কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি না হওয়ায় এই হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ইজরায়েল এখন থেকে ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি দিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এই অভিযান আরও ভয়ঙ্কর হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই হামলার আগে ইজরায়েল তাদের সাথে পরামর্শ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েলের এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে।
হামাস নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। তাদের অভিযোগ, "ইজরায়েল চুক্তি লঙ্ঘন করেছে এবং এটি বাতিল করার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে।"
মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ, যিনি মিশর এবং কাতারের সাথে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, বলেছেন, হামাস অবিলম্বে জীবিত বন্দীদের মুক্তি না দিলে কঠোর মূল্য দিতে হবে। ইজরায়েলি বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা ছাড়াও স্থল অভিযান সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে বলে ইজরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছিল। তবে সাম্প্রতিক সংঘাতে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৯০% গৃহহীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১,২০০ ইজরায়েলিকে নিহত এবং ২৫১ জনকে বন্দী করেছিল। এরপর ইজরায়েলি বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে প্রায় ৪৮,০০০ প্যালেস্টাইনবাসী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন