আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হলেন বাম প্রার্থী ক্যাথরিন কনোলি (Catherine Connolly)। বিভিন্ন বাম মনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নির্দল প্রার্থী কনোলি পেয়েছেন ৬৩ শতাংশ ভোট। সিন ফিন (Sinn Féin), পিপল বিফোর প্রফিট (People Before Profit), আইরিশ লেবার পার্টি (Irish Labour Party), কমিউনিস্ট পার্টি-সহ সব বামপন্থী দল তাঁকে সমর্থন জানিয়েছিল। আয়ারল্যান্ডের দশম প্রেসিডেন্ট এবং তৃতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব সামলাবেন। এর আগে ১৯৯০ সালে ম্যারি রবিনসন এবং ১৯৯৭ সালে ম্যারি ম্যাকালসি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব সামলেছেন।
নির্বাচনী ফলাফল অনুসারে ক্যাথরিন কনোলি পেয়েছেন ৯,১৪,১৪৩ বা ৬৩.৩৬% প্রথম পছন্দের ভোট। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণপন্থী ফাইল গেল (Fine Gael) দলের হিদার হামফ্রিস (Heather Humphreys) পেয়েছেন ৪,২৪,৯৮৭ বা ২৯.৪৬ শতাংশ প্রথম পছন্দের ভোট। তৃতীয় স্থানে আছেন ফিয়ান্না ফিয়াল (Fianna Fail) দলের জিম গ্যাভিন (Jim Gavin)। যিনি পেয়েছেন ১,০৩,৫৬৮ বা ৭.১৮% প্রথম পছন্দের ভোট। যদিও গ্যাভিনের নাম ব্যালট পেপারে থাকলেও তিন সপ্তাহ আগেই তিনি নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
ডাবলিন ক্যাসেলে এক বক্তৃতায় কনোলি জানিয়েছেন, "আমি এমন একজন রাষ্ট্রপতি হব যিনি শুনবেন, যিনি প্রতিফলিত করবেন এবং যখন প্রয়োজন হবে তখন তিনি কথা বলবেন। একসাথে আমরা একটি নতুন প্রজাতন্ত্র গঠন করতে পারবো যেখানে সকলের মূল্য থাকবে।"
৬৮ বছর বয়স্ক কনোলি গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের জন্য প্রথম থেকেই কড়া সমালোচনা করেছেন এবং সিন ফেইন, লেবার পার্টি এবং সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট সহ বিভিন্ন বামপন্থী দলের সমর্থন পেয়েছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারপর্বে তাঁর প্রচার তরুণদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিল। যারা অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে তার দৃঢ় প্যালেস্তাইনপন্থী অবস্থান এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার অঙ্গীকারকে সমর্থন জানিয়েছে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কনোলি গ্যালওয়েতে ১৭ বছর কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যার মধ্যে তার জন্মস্থান শহরের মেয়র হিসেবে এক বছরের মেয়াদও ছিল। তবে, ২০০৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে হিগিন্সের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় লেবার পার্টি তাঁকে সমর্থন না দেওয়ার জন্য তিনি দলের সমালোচনা করেন এবং সেই বিরোধের পর তিনি লেবার পার্টি ত্যাগ করেন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে ২০১৬ সালে তিনি আইরিশ সংসদ-এ (Dail) নির্বাচিত হন।
ক্যাথরিন কনোলি বর্তমান রাষ্ট্রপতি মাইকেল ডি হিগিন্স-এর স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ২০১১ থেকে আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১১-র ২৯ অক্টোবর তিনি প্রথমবার আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় দফায় ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন