
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র যৌথ বিবৃতিতে সই করলেন না ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। জানা যাচ্ছে, যৌথ বিবৃতিতে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার কোনও উল্লেখ না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ভারত সরকারের এক সূত্র জানায়, “যৌথ নথিতে পহেলগাঁও ঘটনা বাদ পড়েছে। অথচ পাকিস্তানের বালুচিস্তান পরিস্থিতির উল্লেখ রয়েছে, যেখানে ভারতের বিরুদ্ধে অস্থিরতা ছড়ানোর অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে ভারত যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেনি এবং কোনও যৌথ ইশতেহার প্রকাশ পায়নি।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বর্তমানে চীনের কিংডাও শহরে এসসিও বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান সহ ১০টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছেন।
রাজনাথ সিং বলেন, “সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকদের ফল ভোগ করতেই হবে। কিছু দেশ সীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। এই দ্বিচারিতার জায়গা নেই।”
পহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং বলেন, “ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট এই হামলার দায় নিয়েছে। ভারত এই হামলার জবাব দিয়েছে, ভবিষ্যতেও দেবে। যারা সন্ত্রাস ছড়ায়, তারা আর নিরাপদ নয়।”
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদের সংগঠক, অর্থদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে এবং প্রতিটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনাথ সিং-এর এই অবস্থান নয়াদিল্লির সন্ত্রাসবিরোধী কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর আগেও 'অপারেশন সিঁদুর'-এর মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক মহলে বার্তা দিয়েছিল যে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা আপসহীন।