
ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে (Jair Bolsonaro) ব্রাজিলে গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর চক্রান্তের দায়ে ২৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। যা নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও পুরো বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন বলসোনারো।
বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম ফেডারেল কোর্ট এই রায় ঘোষণা করে। বিচারপতি কারমেন লুসিয়া ও ক্রিস্তিয়ানো জানিন চূড়ান্ত ভোট প্রদান করেন, যা পূর্বে আলেকজান্দ্রে দে মোরাইস ও ফ্লাভিও দিনোর দেওয়া রায়ের সঙ্গে মিলে যায়। কেবল বিচারপতি লুইজ ফুক্স ভিন্নমত পোষণ করে বলসোনারোকে খালাসের পক্ষে মত দেন।
৭০ বছর বয়সী বলসোনারোকে পাঁচটি গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্র, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ধ্বংসের চেষ্টা, সশস্ত্র অপরাধী সংগঠনে অংশগ্রহণ, সরকারি সম্পত্তি বিনষ্টকরণ এবং সংরক্ষিত ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন এবং চূড়ান্ত শুনানিতে উপস্থিত হননি। তবে তিনি পুরো বিচারপ্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন, এর উদ্দেশ্য ২০২৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণ ঠেকানো। যদিও এর আগেই আরেকটি রায়ে তাঁকে সরকারি পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি চাইলে ১১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আপিল করতে পারবেন।
রায়ের পরপরই আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলসোনারোর পক্ষে অবস্থান নিয়ে রায়কে “গুরুতর অবিচার” বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “জাইর বলসোনারো একজন অসাধারণ নেতা ছিলেন। এটি ব্রাজিলের জন্য ভয়াবহ। আমার সঙ্গে যা করার চেষ্টা হয়েছিল, এখানেও তাই করা হয়েছে।”
এই রায়কে কেন্দ্র করে ব্রাজিলের রাজনীতি আরও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বলসোনারোর সমর্থকেরা এটিকে গণতন্ত্রের জন্য আঘাত বলে উল্লেখ করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন