

‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ (Big, Beautiful Bill)- এ সই করে আইনে পরিণত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বৃহস্পতিবার আমেরিকার আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে ৪ ভোটের ব্যবধানে পাশ হয় বিলটি। এরপরই ট্রাম্প স্বাক্ষর করে বিলটি আইনে পরিণত করেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে বিলে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিলে স্বাক্ষর করাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জড়ো হয়েছিলেন প্রেসিডেন্টের বহু সমর্থক। আমেরিকার সেনাবাহিনী এদিন একাধিক সামরিক বিমান চালিয়ে নতুন আইনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
কংগ্রেসের (মার্কিন আইনসভা) সেনেটে (উচ্চকক্ষ) ‘বিতর্কিত’ বিলটি আগেই পাশ হয়েছিল। অপেক্ষা ছিল নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাশ হওয়ার। সেখানেও জয় পান ট্রাম্প। বিলের পক্ষে ২১৮টি এবং বিলের বিপক্ষে ২১৪টি ভোট পড়ে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সেনেটে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেনেটে ৫৩ জন রিপাবলিকান এবং ৪৭ জন ডেমোক্র্যাট সদস্য থাকলেও বিল পাশ হয় ৫১-৪৯ ভোটে। অর্থাৎ, ২ জন রিপাবলিকান এর পক্ষে ভোট দেননি।
বিলে স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশের মানুষকে এত খুশি আমি এর আগে কখনও দেখিনি। কারণ, এই আইনে ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের সুবিধা হবে। আমরা পেলাম বৃহত্তম কর ছাড় এবং খরচ কাটছাঁটের আইন। সীমান্ত সুরক্ষায় বৃহত্তম বিনিয়োগ হতে চলেছে। আমেরিকার ইতিহাসে যা কখনও হয়নি।’’
উল্লেখযোগ্যভাবে, ডেমোক্র্যাটরা যেমন সরাসরি এই বিলের বিরোধিতা করেছেন, তেমনই রিপাবলিকানদের মধ্যে থেকেও এই বিলের বিরোধিতা এসেছে। তাছাড়াও ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ধনকুবের এলন মাস্কও এই বিলের বিরোধিতা করেছেন। এই বিল প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই খসড়া বিল আমেরিকার লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান নষ্ট করবে এবং আমাদের দেশের জন্য বিরাট কৌশলগত ক্ষতি করবে। এই বিল আসলে এক উন্মাদ আচরণ এবং সম্পূর্ণ ধ্বংসাত্মক বিল (utterly insane and destructive)।
প্রস্তাবিত এই বিলের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প বহু-ট্রিলিয়ন ডলারের ফেডারেল কর কমাবে এবং পেন্টাগন ও সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থাগুলিতে আরও অর্থ বিনিয়োগ করবে। এছাড়াও মেডিকেড সহ বিভিন্ন সরকারি সুরক্ষা-নেট ব্যবস্থাগুলিতে বিনিয়োগ কমাবে। অর্থাৎ নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিমার জন্য সরকার যে খরচ করে থাকে, তাতে কাটছাঁট করা হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন