
শপথ নিয়েই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের। ট্রাম্প জমানায় এবার থেকে আমেরিকার সরকারি খাতায় দু’টি লিঙ্গ থাকবে – পুরুষ এবং স্ত্রী। সোমবার দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর সরকারি নীতি স্পষ্ট করে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, এই বিষয়ে শীঘ্রই তিনি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ।
সোমবার আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প বলেন, “এখন থেকে আমেরিকার সরকারি নীতি অনুসারে শুধুমাত্র দু’টি লিঙ্গ থাকবে – পুরুষ এবং স্ত্রী। কোনও ব্যক্তি নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের মনে করলেও তা সরকারি নথিতে স্থান পাবে না”।
সংবাদ সংস্থা ‘দ্য গার্ডিয়ান’ –এর প্রতিবেদন অনুসারে, নির্বাহী আদেশে পাসপোর্ট, ভিসা এবং অন্যান্য সরকারি নথিতে শুধুমাত্র পুরুষ এবং মহিলা – এই দু’টি লিঙ্গের কথাই উল্লেখ থাকবে। তৃতীয় লিঙ্গ বা রূপান্তরকামীদের জন্য আলাদা কোনও স্বীকৃতি থাকবে না। অর্থাৎ শারীরিক গঠনগত দিক থেকে যে মানুষ যে লিঙ্গের, সেটিই উল্লেখ থাকবে নথিতে। কোনও পুরুষ নিজেকে মহিলা এবং কোনও মহিলা নিজেকে পুরুষ মনে করতেই পারেন, কিন্তু ফেডারেল সরকারের সরকারি নথির ক্ষেত্রে সেই সব ধারণা খাটবে না।
২০২১ সালে জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর রূপান্তরকামীদের জন্য সরকারি নথিতে পৃথক লিঙ্গ চালু করেছিলেন। চার বছর আগে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিনেই এই নীতি চালু করেছিলেন বাইডেন। ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে বাইডেনের সেই নীতিতে পরিবর্তন আনতে চলেছেন।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের এই নয়া নীতির তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছে আমেরিকা জুড়ে, বিশেষ করে তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এবিষয়ে আমেরিকার অন্যতম বড় তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেন’ –এর সভাপতি কেলি রবিনসন বলেছেন, “আমরা পিছু হটছি না। ভয়ও পাচ্ছি না। আমারা কোথাও পালিয়ে যাচ্ছি না। আমারা নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন