
ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান–পাকিস্তান সীমান্ত। বুধবার সকালে আফগানিস্তানের কন্দহর ও পাকতিকা প্রদেশে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তালিবান প্রশাসন।
তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনারা কন্দাহারের স্পিন বলডাক জেলায় আর্টিলারি হামলা চালায়। এর জেরে ওই এলাকায় অন্তত ১২ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। আফগান বাহিনী পাল্টা অভিযান চালিয়ে “স্পিন বলডাক গেট” দখল করার দাবি জানিয়েছে। যদিও আফগানিস্তানের জবাবি হামলায় পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।
তালিবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানী সেনার 'স্পিন বলডাক গেট' দখল করেছে তারা। ওই এলাকা বর্তমানে আফগান বাহিনীর দখলে। এমনকি এই জবাবি হামলায় যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি আফগানিস্তানের।
এছাড়া, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া সীমানবর্তী আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে দু'দেশের বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, তুরো এবং উরমুজ জেলায় সীমান্তলাগোয়া কিছু এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের পক্ষ থেকেই বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়। তাদের পাল্টা অভিযানে “তালিবান বাহিনীর একাধিক ট্যাঙ্ক ও ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে” বলেও দাবি করে ইসলামাবাদ।
প্রসঙ্গত, ৮ অক্টোবর রাতে একাধিক বিস্ফোরকে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। সেই সময় ছ'দিনের জন্য ভারত সফরে এসেছিলেন তালিবান বিদেশ মন্ত্রী আমির খান। আফগান তালিবানদের তরফে দাবি করা হয়, পাকিস্তানী সেনা ড্রোন এবং আর্টিলারি হামলা চালায়। যার জেরে অন্তত ৫ জন নিহত এবং বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়।
এরপর ১২ অক্টোবর নতুন করে সংঘর্ষ বাঁধে পাকতিকা প্রদেশে। পাকিস্তান দাবি করে 'বিনা প্ররোচনায়' আফগান বাহিনী গুলি চালিয়েছে। এর জেরে পাকিস্তান সাময়িকভাবে সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন