

কে হবেন চিলির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? ২০২৬ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত কার হাতে থাকবে দক্ষিণ আমেরিকান এই রাষ্ট্রের পরিচালনভার? যা নির্ধারণ করতে আগামী ১৪ ডিসেম্বর কমিউনিস্ট জেনেথ জারা-র (Jeannette Jara) সঙ্গে সরাসরি লড়াই দক্ষিণপন্থী জোস অ্যান্টোনিও কাস্টের (Jose Antonio Kast)। রবিবার প্রথম রাউন্ডে ৯৯ শতাংশ ভোট গণনার শেষে জেনেথ জারা পেয়েছেন ২৬.৮ শতাংশ ভোট এবং দক্ষিণপন্থী কাস্ট পেয়েছেন ২৩.৯ শতাংশ ভোট। ফলে আগামী ১৪ ডিসেম্বর রান অফ।
এই ভোটে ১৯.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন আরও এক দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদ ফ্র্যাঙ্কো পারিসি (Franco Parisi)। এছাড়াও র্যাডিকাল লিবারেটারিয়ান জোহানস কাইজের পেয়েছেন ১৩.৯ শতাংশ ভোট এবং মুখ্যধারার রক্ষণশীল প্রার্থী এভিলিন ম্যাথেই পেয়েছে ১২.৪ শতাংশ ভোট। চূড়ান্ত লড়াই বা রান অফে মুখোমুখি লড়াই হবে কমিউনিস্ট প্রার্থী জারার সঙ্গে দক্ষিণপন্থী কাস্টের।
বিশ্লেষকদের দাবি, কাস্ট, কাইজের এবং ম্যাথেই-এর মোট ভোট ৫২.২৩ শতাংশ এবং সেই হিসেবে রান অফে অনেকটাই এগিয়ে আছেন দক্ষিণপন্থী কাস্ট। এর সঙ্গে পারিসি-র ভোট যোগ করলে তা দাঁড়াবে ৭০.৬৪ শতাংশে। যদিও পারিসি কমিউনিস্ট বা দক্ষিণপন্থী কাউকেই সমর্থন দেবেন না বলে জানিয়েছেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে প্রথম রাউন্ডে দক্ষিণপন্থীরা জয়ী হলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে বরিকের কাছে তাদের পরাজিত হতে হয়।
সান্তিয়াগোতে প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিক জারা ও কাস্টকে রান অফে পৌঁছানো দুই শীর্ষ প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রবিবারের ব্যালটে আট জন প্রার্থী ছিলেন, তবে সরাসরি জিততে হলে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট প্রয়োজন ছিল। কেউই সেই শতাংশ ভোট পাননি।
প্রথম দফায় এগিয়ে থাকলেও ৫১ বছর বয়সী জারা এখন কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি। তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ইতিমধ্যে কাস্টের পক্ষে সমর্থন দিতে শুরু করেছেন। কাস্ট চরম দক্ষিণপন্থী রিপাবলিকান পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।
রবিবারের নির্বাচন মূলত নিরাপত্তাহীনতা ঘিরে জনঅসন্তোষে প্রভাবিত ছিল। দীর্ঘদিন ধরে লাতিন আমেরিকার নিরাপদ দেশ হিসেবে পরিচিত চিলিতে সাম্প্রতিক সময়ে হত্যা, অপহরণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ তীব্র হয়েছে।
বরিক সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জারা আরও পুলিশ নিয়োগ, সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলা এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
৫৯ বছর বয়সী কাস্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলিভিয়ার সীমান্তে প্রাচীর তৈরি করে উত্তর দিক থেকে ভেনেজুয়েলার মতো গরিব দেশের অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশ ঠেকানোর ব্যবস্থা করবেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন