
ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বাংলাদেশ (Bangladesh)। বুধবার নতুন করে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। রীতিমতো থমথমে পরিস্থিতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জেলা গোপালগঞ্জে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার। গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (NCP) পূর্বনির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীদের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। কমপক্ষে চারজন নিহত এবং একাধিক জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন ৪ জন। চার জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কিছু এলাকায় সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। চৌরঙ্গীর এক মুদি দোকানদার জানান, তিনি দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে যেতে দেখেছেন।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম খুলনায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “গোপালগঞ্জে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে আমরা মাদারীপুরের দিকে যাচ্ছিলাম। তখনই আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মীরা আমাদের উপর আক্রমণ চালায়”।
তিনি আরও জানান, সমাবেশ শুরুর আগে ২০০-৩০০ সশস্ত্র ব্যক্তি বিস্ফোরণ ঘটায় ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশ সাময়িকভাবে পিছু হটলেও পরে এনসিপি নেতাদের সহায়তায় আক্রমণকারীদের হটানো হয়।
এই ঘটনায় শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ-র ছাত্র সংগঠনের উপর আঙুল তুলছেন মহম্মদ ইউনূস। তিনি লেখেন, “অপরাধীদের চিহ্নিত করে সম্পূর্ণ জবাবদিহি করতে হবে। বাংলাদেশের কোনও নাগরিকের বিরুদ্ধে এই ধরনের সহিংসতার কোনও স্থান নেই”।
পাশাপাশি তিনি লেখেন, “হুমকি ও হামলা সত্ত্বেও সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা তাদের (এনসিপি) সাহসের প্রশংসা করি”।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে তৎকালীন হাসিনা সরকারের সংরক্ষণ নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিশাল বিক্ষোভ দেখা যায়। ৫ আগস্ট বিক্ষোভকারীরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীরা তাঁর বাসভবনে পৌঁছনোর আগেই তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। পতন ঘটে হাসিনা সরকারের। পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হন মহম্মদ ইউনূস। কিন্তু তাঁর আমলেও অশান্তি কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন