Anti-Trump Protest: শুধু আমেরিকায় নয়, জার্মানি-পর্তুগাল সহ একাধিক দেশে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ!

People's Reporter: শুধু আমেরিকাতেই নয়, ট্রাম্প-বিরোধী এই আন্দোলনের আঁচ পৌঁছেছে জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও পর্তুগালেও। সেখানেও মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ।
ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ
ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভছবি সংগৃহীত
Published on

হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় বার দায়িত্ব নেওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই জনরোষের মুখে ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার (ভারতীয় সময়) আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যে - নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, টেক্সাস-সহ একাধিক জায়গায় হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্পের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তাঁরা। যা ট্রাম্পের জন্য খুব একটা স্বস্তির খবর নয়।

শুধু আমেরিকাতেই নয়, ট্রাম্প-বিরোধী এই আন্দোলনের আঁচ পৌঁছেছে জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও পর্তুগালেও। সেখানেও মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। ট্রাম্পের বিতর্কিত অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি, ফেডারেল কর্মী ছাঁটাই, রূপান্তরকামীদের সেনায় নিষিদ্ধ করা, সামাজিক সুরক্ষা অফিস বন্ধ করে দেওয়া, শুল্কনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক টানাপড়েন, এই সবকিছু ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছে। বিক্ষোভে দেখা গেছে ‘স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক’, ‘ফ্যাসিবাদ হোয়াইট হাউসে’, ‘মহান হতে চাই না, স্বাভাবিক করা হোক আমেরিকাকে’ এই ধরণের প্ল্যাকার্ড।

টেসলা কর্তা এলন মাস্ক, যিনি বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের পরামর্শদাতা এবং সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের প্রধান, তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। মাস্কের অধীনে ব্যাপক সরকারি কর্মী ছাঁটাই নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

‘নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ। এক প্রতিবাদী বলেন, “আমার ভীষণ রাগ হচ্ছে। বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত একদল মানুষ নিজেদের মতো করে দেশ চালাচ্ছে। আমেরিকা আর মহান নেই।” আরেক জন বলেন, “এই প্রশাসন বন্ধুত্ব নষ্ট করছে, ভাঙন ধরাচ্ছে দেশের ভিতরেও।”

গর্ভপাত বিরোধী নীতির বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের এক তরুণীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “আমার গর্ভ থেকে বেরিয়ে যাও।” বস্টনের এক প্রতিবাদী বলেন, “ফ্যাসিবাদ থামানোর জন্য আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। ট্রাম্প অভিবাসীদের জেলে ভরছেন, বিরোধীদের দমন করছেন।”

লন্ডনের এক মহিলা বলেন, “ট্রাম্পের পাগলামি আমাদের সবার অর্থনীতির ক্ষতি করছে।” জার্মানির এক প্রতিবাদী বলেন, “উনি একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করেছেন।”

অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসে বসে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আমার নীতি বদলাবে না।” ভারত থেকে চীন সকলকেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মূলত শুল্ক নীতি নিয়েই দেশগুলির সাথে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে আমেরিকার। চীন অবশ্য পাল্টা আমেরিকার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। গত মাসেই চীন বলেছিল, "আমেরিকা যদি যুদ্ধই চায়— তা শুল্ক যুদ্ধ, বাণিজ্য যুদ্ধ বা অন্য কোনো যুদ্ধ হোক— আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।"

ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ
Bangladesh: বাংলাদেশে এবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি, কবির নামও বিকৃত করার অভিযোগ!
ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ
ট্রাম্প শুল্কর জের - বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজারে ধস - আমেরিকার বাজার থেকে উড়ে গেল ৬.৬ ট্রিলিয়ন ডলার

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in