
রাশিয়া থেকে তেল কিনলে ভারত, চীন ও ব্রাজিলের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এমনই পরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বিস্ফোরক দাবি করেলন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, "ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকারক দেশগুলির জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। রাশিয়ার রপ্তানি করা তেলের মধ্যে ৮০ শতাংশই আমদানি করে ভারত, চীন এবং ব্রাজিল। যা রাশিয়ার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মূল অর্থনৈতিক ভিত্তি। যা রক্তের টাকা"।
তিনি আরও বলেন, “যারা রাশিয়ান তেল কিনছে তারা ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের ওপর বোমা ফেলার জন্য পুতিনকে অর্থ দিচ্ছে। ট্রাম্প এসব দেশের অর্থনীতির ওপর এমন চাপ সৃষ্টি করবেন, যাতে তারা বাধ্য হয় রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে।”
গ্রাহাম তাঁর বক্তব্যে পুতিনের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ করছেন সোভিয়েত ইউনিয়নের অতীত সীমান্ত পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। এই রাশিয়াই ১৯৯৪ সালে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করছে।”
তিনি মনে করেন, পুতিন থামবেন না যতক্ষণ না কেউ তাঁকে বাধ্য করে থামাতে। গ্রাহামের দাবি, “ট্রাম্পই হচ্ছেন সেই নেতা, যিনি পুতিনকে দমন করতে পারবেন।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আর নিরপেক্ষ থাকার সময় নেই। এখন পক্ষ নিতে হবে - তুমি কি স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকবে, না কি এক স্বৈরশাসকের জন্য ঝুঁকি নেবে?”
গ্রাহাম বলেন, "এখনই পুতিনের জন্য আলোচনার টেবিলে ফেরার সেরা সময়। পুতিন ট্রাম্পকে অবমূল্যায়ন করেছেন। সেটা তাঁর জন্য বড় ভুল ছিল। রাশিয়া এবার বুঝবে তাদের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে যাচ্ছে।”
এই হুঁশিয়ারির মাধ্যমে রাশিয়া, চীন, ভারত ও ব্রাজিলের সঙ্গে ভবিষ্যত আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের প্রশাসন পূর্বের মতোই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে ফিরে গেলে, বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার ও ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন