
বাংলাদেশের ঢাকায় স্কুল চত্বরে বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ল। জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭। যার মধ্যে ২৫ জনই শিশু। আহত অন্তত ১৭১ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৮ জন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করেন সে দেশের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মহম্মদ সায়েদুর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। অধিকাংশেরই বয়স ১২ বছরের কম। বাকি দু'জন হলেন বিমানটির পাইলট এবং ওই স্কুলের শিক্ষিকা।
সায়েদুর আরও জানান, ইতিমধ্যেই ২০ জনের দেহ পরিবাররে হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ৪টি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ৭৮ জনের। সায়েদুর রহমান জানান, বার্নে সোমবার রাতে আরও আটজন মারা গেছেন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ২৮ জন ভর্তি আছেন। এখানে ১৫ জনের মৃতদেহ ছিল। এ ছাড়া বার্নে ভর্তি রয়েছেন ৪২ জন।
তিনি আরও জানান, মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ছ'জনের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। তাঁদের চিহ্নিত করতে ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একটি দেহাবশেষ রয়েছে। ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন তিনজন। গুরতর আহত একজনকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পাশাপাশি, হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, আহত ব্যক্তির মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। তাদের রক্তের প্রয়োজনীয়তা কম। তবে নেগেটিভ গ্রুপের কিছু রক্ত লাগতে পারে। সকলের জন্য প্রার্থনা করার আর্জি জানান তিনি। যাঁরা এখনও তাঁদের স্বজনের খোঁজ পাননি, তাঁরা পাবলিক ডোমেইন থেকে দেখে নিতে পারেন। সমস্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সে দেশের সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৬ মিনিট নাগাদ বিমানটি উড়েছিল। ওড়ার ১২ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর। বাংলাদেশের বায়ুসেনার তরফ জানানো হয়েছে, এফ-৭ বিমানটি ভেঙে পড়েছে। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার হয় বিমানটি। তবে কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল তা জানা যায়নি এখনও।
উল্লেখ্য, সামরিক সরঞ্জাম-সংক্রান্ত মার্কিন ওয়েবসাইট ‘গ্লোবাল সিকিউরিটি ডট কম’-এর তথ্য অনুযায়ী, এফটি-৭ বিমানটি চিনের একটি সংস্থা তৈরি করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন