মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তামার ওপর নতুন ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি আগামী এক বছরের মধ্যে আমদানি করা ওষুধের ওপর শুল্ক ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন। ট্রাম্পের এই ঘোষণার ফলে ভারতের তামা ও ওষুধ রপ্তানি খাতে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “আমরা তামার শুল্ক ৫০ শতাংশে নিয়ে যাচ্ছি।” যার জেরে চিন্তা বাড়ছে ভারতীয় বাণিজ্যে।
তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারত প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের তামা ও তামাজাত পণ্য রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৩৬০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য মার্কিন বাজারে গেছে। যা মোট রপ্তানির ১৭ শতাংশ। এই নতুন শুল্কে আমেরিকায় তামা রপ্তানির পরিমাণ কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক হলো ওষুধ খাতের জন্য সম্ভাব্য ২০০ শতাংশ শুল্ক। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের ওষুধ রপ্তানি ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯.৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যার ৪০ শতাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। ভারতের সস্তা জেনেরিক ওষুধ মার্কিন স্বাস্থ্যব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ২০০% শুল্ক হলে ক্ষতির মুখে পড়বে ভারতের ওষুধ রপ্তানি।
মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, এই শুল্ক ব্যবস্থা জুলাইয়ের শেষ বা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে পারে। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারকদের স্থানান্তরের সময় দিতে ট্রাম্প সরকার এক থেকে দেড় বছর সময় দেবে বলে জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ওষুধ, সেমিকন্ডাক্টর, কাঠ ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ আমদানির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া তিনি ব্রিকস দেশগুলির উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ভারত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সীমিত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা চালাচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যদি ১ আগস্টের আগেই এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়, তাহলে শুল্ক আরোপের সম্ভাব্য ধাক্কা কিছুটা এড়ানো যেতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন